ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

কাতারে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৬, হাইকমান্ড অক্ষত

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৬ জন নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জনই ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

হামলার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস। বাকি যে একজন নিহত হয়েছেন, তিনি কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় ৬ জন বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে নিহতের মোট সংখ্যা জানানো হলেও হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে কাতারের আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের বিবৃতিতে এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো খসড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে কাতারের আবাসিক এলাকার যে ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন গোষ্ঠীটির নেতারা, সেই ভবনটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে কাতারের রাজধানী দোহার উত্তর কাতারা এলাকায় অভিযান চালায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ৮ টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তারা।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আইডিএফের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামাসের শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র খলিল আল হায়া এবং হামাস পশ্চিম তীর শাখার নেতা জাহের জাবারিনকে হত্যার উদ্দেশে এ হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। কাতারের একটি নির্দিষ্ট আবাসিক ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ১৫টি যুদ্ধ বিমান এতে অংশ নিয়েছে এবং হামলার ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১০ মিনিট।

এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘ঘৃণ্য অপরাধ’, ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের অশালীন লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা নিশ্চিত করে বলছি যে শত্রুরা আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ভাইদের এবং আমাদের আলোচনাকারী দলের সদস্যদের হত্যায় ব্যর্থ হয়েছে।”

“আমাদের আলোচনাকারী প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো সাম্প্রতি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যখন আলোচনা করছিলেন, তখন চালানো হয়েছে এ হামলা। এ ঘটনার মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলো যে নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো শান্তি চুক্তিতে তো আসতেই চায় না, উপরন্তু শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত যে কোনো উদ্যোগকে তারা বাধা দিতে বদ্ধ পরিকর।”

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল, তাদেরকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হামলা সম্পূর্ণ ন্যায্য।” কাতার এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে নিন্দা জানিয়েছে কাতার। - সূত্র : বিবিসি


আমার বার্তা/জেএইচ