যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি স্থানীয় সরকার ও গণভোটে ট্রাম্পের দলের ভরাডুবি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:১০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার একটি শহর ও তিনটি অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটিতে মেয়র পদে হেরেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া। নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ায় গভর্নর পদেও ট্রাম্পকে স্বস্তির খবর দিতে পারেননি তাঁর দল ও সমর্থিত প্রার্থীরা। ক্যালিফোর্নিয়ায় সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত গণভোটেও রিপাবলিকানদের প্রস্তাব ভোটারদের সমর্থন পায়নি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, নিউ জার্সিতে জয়ী মিকি শেরিল ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। রিপাবলিকান জ্যাক সিয়াতারেলির বিরুদ্ধে তাঁর জয়ের ব্যবধান বেশ বড়। পেয়েছেন ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৭৬০ ভোট। বিপরীতে জ্যাকের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৯১টি। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী মনোভাবকে হাতিয়ার বানানোকে শেরিলের জয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
৫৩ বছর বয়সী মিকি শেরিল একসময় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারের পাইলট ও সরকারি কৌঁসুলী ছিলেন। নিউ জার্সির তিনি দ্বিতীয় নারী ও ৫৭তম গভর্নর হতে যাচ্ছেন।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভার্জিনিয়ায় প্রথমবারের মতো নারী গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার (১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৯)। এ অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ছিলেন উইনসম আর্ল-সিয়ার্স (১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৫৭)।
একই দিন ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় অঙ্গরাজ্যের সীমানা পুনির্ধারণে সংবিধান সংশোধনী অনুমোদন সংক্রান্ত গণভোট। যেখানে সীমানা পুনির্ধারণের পক্ষে ছিল ডেমোক্র্যাট আর বিপক্ষে ছিল রিপাবলিকান পার্টি। এই গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। গণভোটের এমন ফলাফলের কারণে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের অন্তত পাঁচটি আসন হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
রিপাবলিকানদের এমন হার নিয়ে সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ চারটি অঙ্গরাজ্যে হওয়া এসব নির্বাচনে ভোটারেরা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে এক ধরনের ঝড় তুলেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মাথায় ট্রাম্প তাঁর বিরোধী পক্ষের এমন জয় দেখলেন। যা তাঁর প্রতি ভোটারদের অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘ব্যালটে ট্রাম্প ছিলেন না। ফেডারেল সরকারেও শাটডাউন চলছে। এগুলোই হারের কারণ।’
