দুর্নীতি ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ: ২৩৫২ বছরের কারাদণ্ডের মুখে ইস্তানবুলের মেয়র
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

তুরস্কের বিরোধী দল সিএইচপি’র শীর্ষ নেতা ও ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামওলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১৪২টি অভিযোগ এনেছে দেশটির প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তার কারাদণ্ডের মেয়াদ হতে পারে দুই হাজার বছরেরও বেশি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, তুরস্কের প্রধান প্রসিকিউটর ইমামওলুর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনেন। এতে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তিনি সর্বোচ্চ ২,৩৫২ বছর পর্যন্ত কারাগারে থাকতে পারেন।
ইমামওলু দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। চলতি বছরের মার্চ মাসে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে প্রাক-বিচারিক আটক করা হয়।
ইমামওলু ও তার দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে। তাদের মতে, এরদোয়ান সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রধান প্রসিকিউটর আকিন গুরলেক জানিয়েছেন, ইমামওলুসহ মোট ৪০১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আট মাসব্যাপী তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ১০৫ জন ইতোমধ্যে আটক আছেন। তারা ঘুষ, অর্থপাচার ও বেআইনি উপায়ে সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে প্রায় ১৬০ বিলিয়ন লিরা (প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ক্ষতির মুখে ফেলেছেন।
৫৪ বছর বয়সী ইমামওলুর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার ১২টি, অর্থপাচারের ৭টি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতারণার ৭টি অভিযোগ রয়েছে। আনাদোলু সংবাদ সংস্থার হিসেবে, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাঁড়াতে পারে প্রায় ২,৪৩০ বছর কারাদণ্ড।
তার গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা দমন করতে পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালায় এবং বহু মানুষকে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি মারমারা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
দুর্নীতির মামলার পাশাপাশি ইমামওলুর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি, ভুয়া সনদ ব্যবহারসহ আরও কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। তার বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি বাতিল হওয়ায়, আইন অনুযায়ী তিনি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথমবার ইস্তানবুলের মেয়র নির্বাচিত হন ইমামওলু। পরে ২০২৪ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রার্থীকে প্রায় ১০ লাখ ভোটে পরাজিত করে পুনরায় মেয়র পদে জয়ী হন।
আমার বার্তা/জেএইচ
