
গাজাকে ভাগ করা ইয়েলো লাইনকে ইসরাইলের নতুন সীমান্ত দাবি করেছেন সেনাপ্রধান আইয়াল জামির। ইতোমধ্যেই গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা আটকে রেখেছে ইসরাইল।
যুদ্ধবিরতির পর মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও চলছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলা। উপত্যকাটির বিভিন্ন স্থানে নতুন করে হামলায় হতাহতও হয়েছেন কয়েকজন। এছাড়া মানবিক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত অসহায় ফিলিস্তিনিরা।
এদিকে গাজার উত্তরে রিজার্ভ সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতে ইসরাইলি সেনাপ্রধান আইয়াল জামির স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসরাইল বর্তমান অবস্থান ছাড়বে না। নতুন কংক্রিট, সীমারেখা ঘোষণা সব মিলিয়ে গাজার পূর্বাংশে গেঁড়ে বসেছে ইসরাইলি বাহিনী। দখলের মতো এই অবস্থান গাজার কৃষিজমি ও মিশর সীমান্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিচ্ছে তাদের হাতে।
ইসরাইলি হামলা ও সরিয়ে নেয়ার নির্দেশে পূর্ব গাজা পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে। ২০ লাখের বেশি মানুষ এখন কষ্টের মধ্য দিয়ে বাস করছে উপকূলের সরু বালিয়াড়ি অঞ্চলে। নির্দিষ্ট সীমারেখা স্পষ্ট নয়, তবে লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইলি সেনারা লাইন পার হওয়া ফিলিস্তিনিদের বারবার গুলি করছে, রক্ষা পায়নি শিশুরাও।
এ অবস্থান সরাসরি প্রশ্ন তোলে অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে। সেখানে বলা হয়, ইসরাইল গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে এলাকা হস্তান্তরের কথা থাকলেও ইসরাইল বলছে, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ছাড়া সেনা প্রত্যাহার করবে না তারা।
আমার বার্তা/এল/এমই

