থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাদের অভিন্ন সীমান্তে দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাত বন্ধে একটি আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ দিন ধরে চলা এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং উভয় দেশের প্রায় ৫ লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী সামরিক সংঘাত। শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নাথফোন নাকফানিট এবং কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী টি সিহা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দুই দেশই বর্তমানে মোতায়েন করা সেনাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রাখতে সম্মত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকায় কোনো পক্ষই নতুন করে সেনা সমাগম বা উসকানিমূলক কোনো সামরিক তৎপরতা চালাতে পারবে না।
আল জাজিরা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে। এর আগে সংঘাত চলাকালে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে নির্মম বোমাবর্ষণের অভিযোগ তুলেছিল এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আল জাজিরার সংবাদকর্মীরা সরাসরি সংঘাতের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সীমান্ত বিরোধের ফলে বিশেষ করে কম্বোডিয়ার অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পর্যটন ও সীমান্ত বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছিল। কয়েক দফা ব্যর্থ আলোচনার পর অবশেষে দুই দেশ অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হওয়ায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার বাস্তুচ্যুত মানুষদের ঘরে ফেরার পথ প্রশস্ত হলো।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি কতটুকু দীর্ঘস্থায়ী হবে তা নির্ভর করবে দুই দেশের পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপ এবং বিতর্কিত সীমান্ত রেখা নিয়ে স্থায়ী সমাধানের ওপর। বর্তমানে উভয় দেশের সামরিক কমান্ড নিজ নিজ বাহিনীকে শান্ত থাকার এবং চুক্তির শর্ত মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেছে। - সূত্র: আল জাজিরা
আমার বার্তা/জেএইচ
