বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত মতে কেনা যাবে না ১০টির বেশি সিম
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ১৩:০০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

নিজের নামে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা কমিয়েছে বিটিআরসি। এখন থেকে একজন গ্রাহক নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। এর আগে এই সংখ্যা ছিল ১৫টি।
শনিবার (২৪ মে) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ১৯ মে সিমের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। এরই মধ্যে বিষয়টি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিটিআরসি জানায়, সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিবন্ধনের সীমা কার্যকর হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের মোট ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্রাহকদের মধ্যে যারা ১০টির বেশি সিম ব্যবহার করছেন, তাদের অতিরিক্ত সিম পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, সিম কমানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কমিশন এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা করেছে। তাদের পর্যালোচনা বলছে, এত বেশিসংখ্যক সিম একজন গ্রাহক ব্যবহার করেন না। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা, অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলন চর্চা বিবেচনায় একজনের নামের বিপরীতে সিম সর্বোচ্চ ১০টি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিটিআরসি বলছে, দেশে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লাখ সিম বিক্রি হয়। তারা পর্যালোচনায় দেখেছে, এক দিনে একই গ্রাহক দুই বা তার বেশি সিম নিবন্ধন করছেন, যা অস্বাভাবিক। কিছু অসাধু খুচরা বিক্রেতা আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করে অবৈধভাবে অতিরিক্ত সিম নিবন্ধন করেন, যা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
বিটিআরসির হিসাবে, গত মার্চ শেষে দেশে সক্রিয় সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬২ লাখের বেশি। যদিও এক ব্যক্তির কাছে একাধিক সিম থাকতে পারে। বিটিআরসি বলছে, দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫। এর মধ্যে ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ গ্রাহকের নামে ৫টি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ গ্রাহকের কাছে। ১১ থেকে ১৫টি সিম ব্যবহারকারী গ্রাহক মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালের অক্টোবরে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে ১৫টির বেশি সিম ডিরেজিস্টার করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় এবং লটারির মাধ্যমে অতিরিক্ত সিম বন্ধও করা হয়। এবার সেই সীমা আরও কমিয়ে আনা হলো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্তে মোবাইল অপারেটরদের ওপর কিছুটা চাপ পড়লেও জাতীয় নিরাপত্তা এবং সিম ব্যবহারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি সহায়ক হবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, নতুন সীমা কার্যকর করার প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু হবে এবং গ্রাহকদের এ বিষয়ে পর্যাপ্ত সময় ও নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই