মতিউর ও পরিবারের ৪ ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ১৯:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ২৩৬৭ শতাংশ জমি ক্রোকের (জব্দ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তার ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা এবং শেয়ারবাজারে ২৩টি বিও অ্যাকাউন্টও ফ্রিজের নির্দেশ দেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৪ জুলাই একই আদালত মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দ (ক্রোক) করার নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার জব্দের নির্দেশ দেওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- সভারে ২৬.৬১ শতাংশ জমি, ভালুকায় ১০৪ শতাংশ, ভালুকায় মতিউরের ভাই এ এম কাইউম হাওলাদারের মালিকানাধীন গ্লোবাল সুজের ৯৫৮ শতাংশ জমি, গাজীপুরে আপন ভুবন লি. এর ৮৭৫.৯৫ শতাংশ জমি, নরসিংদীর শিবপুরে মতিউরের স্ত্রী লায়লার নামে ৩৮ শতাংশ, ছেলে অর্ণবের নামে ১২৬ শতাংশ, মেয়ে ইপ্সিতার নামে ৭২ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ায় লায়লা কানিজের নামে ১৬৬ শতাংশ জমি। এছাড়া মিরপুরের শেলটেক বিথীকা প্রকল্পে ১৮১২ স্কয়ার ফুটের ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

স্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও শেয়ার বাজারে তাদের ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট, ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের পক্ষে এ আবেদন করেন সংস্থাটির অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন। আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নিজ নামে বা অন্যান্য ব্যক্তির নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন বলেন, অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা করা, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা করা ও তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এসব স্থাবর সম্পত্তিগুলো জব্দ এবং অস্থাবর সম্পত্তিগুলো অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।


আমার বার্তা/এমই