হাসিনা ও কামালের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়ার নির্দেশ
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দেশে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাই বিপ্লবে শহীদদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ অন্তর্বর্তী সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা যদি আপিল করতে চান, তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। তবে তাদের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করে তারপরে আপিল করতে হবে। এছাড়া আপিল করার কোনো সুযোগ নেই।’
বিচারের স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই মামলার আদালতে কার্যক্রম লাইভ দেখানো হয়েছে যেন কোনো প্রশ্ন না থাকে। সারা বিশ্ব সেটি দেখেছে। এজন্য এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে অস্বচ্ছতার কোনো প্রশ্ন নেই।’
সাংবাদিকদের এক পশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার দুই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একটি হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে ২০১৩ সালের যে অপরাধী বহিঃসমর্পন চুক্তি রয়েছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে ফেরত চাইবে। ভারত সরকার যদি আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, তবে তারা আসামিদের ফেরত দেবে। তাদেরকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করা যাবে। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে এনে এই সাজা কার্যকর করা যেতে পারে।’
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অপর সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ।
২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। মূল রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার।
রায়ে ট্রাইব্যুনালের আনা পাঁচটি অভিযোগের দ্বিতীয়টিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রথমটিতে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড। আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে সবকটি অভিযোগ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় আরেক আসামি পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আমার বার্তা/এমই
