তথ্য অধিকার আইন ও তথ্য কমিশন সংস্কার প্রয়োজন: ইফতেখারুজ্জামান

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৩১ | অনলাইন সংস্করণ

  বাকী বিল্লাহ:

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা সমুন্নত রাখতে তথ্য অধিকার আইন ও তথ্য কমিশনের সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাও তথ্য কমিশন মিলনায়তনে আয়োাজিত সভায় এ কথা বলেন টিআইবি’র এই নির্বাহি পরিচালক।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নতুন বাংলাদেশে দলীয় প্রভাবমুক্ত তথ্য কমিশন গঠন করতে হবে। কারণ, ‘তথ্য অধিকার আইন যখন প্রথম প্রবর্তন করা হয়, তখন একে নাগরিকদের বিজয় হিসেবে দেখা হয়েছিল। অথচ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, আইনটি মূলত কাগুজে হিসেবেই রয়ে গেছে।’

তথ্য কমিশনের মধ্যে সরাসরি নিয়োাগের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, তথ্য কমিশন কেবল কমিশনারদের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিত নয় এবং ওই কমিশনারদের নিয়োগও নিরপেক্ষভাবে করা উচিত।

টিআইবি প্রধান আরো বলেন, তথ্যকে অনেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করলেও বাস্তবে তা জনগণের। সরকারি কর্মকর্তাদের উচিত তথ্যের রক্ষক হিসেবে তাদের ভূমিকা বোঝা, দ্বাররক্ষী হিসেবে নয়।

ড. ইফতেখারুজ্জামান তথ্য অধিকার আইনকে নাগরিকের ক্ষমতায়ন ও স্বচ্ছতা প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার, তথ্যের অবাধ প্রবাহ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অপরিহার্য উপাদান।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়েছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন এবং সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করে একটি সুখী সমৃদ্ধ, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম হাতিয়ার তথ্য অধিকার আইন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আ. হাকিম। সভাপতিত্ব করেন তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর পরিচালক এস এম কামরুল ইসলাম।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘রাষ্ট্রের মূলধারায় তথ্য অধিকারের সংযুক্তি এবং সরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ।’

 

আমার বার্তা/এমই