শিল্পাঞ্চল থেকে ৩৩৫ দুষ্কৃতকারী গ্রেপ্তার: আইএসপিআর

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে গত ৯ আগস্ট থেকে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে ৩৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ৯ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্স সাভার-আশুলিয়া এলাকায় ৯৭টি, গাজীপুরে ৩৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৬টিসহ মোট ১৩৬টি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানের মাধ্যমে মালিক, শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্যদেরকে বিক্ষুব্ধ দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে শিল্পাঞ্চলে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে ৩৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহাসড়কগুলোতে স্থাপিত ১২৩টি রোড ব্লক অপসারণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছে সেনাবাহিনী। ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্সের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কারখানা মালিক এবং শ্রমিকদের সঙ্গে সর্বমোট ৭২৩টি সফল আলোচনার ফলস্বরূপ ৫৬টি কারখানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রতিরোধ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম ছাড়াও এই টাস্কফোর্স বিভিন্ন কলকারখানার বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা, মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা সভা আয়োজনের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করেছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত মাইকিংসহ নানাবিধ প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আইএসপিআরের এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২০ অক্টোবর অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.) ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সাভার সেনানিবাসে অবস্থিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং সরেজমিনে বেশ কয়েকটি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। সে সময় তারা শিল্প কলকারখানায় উৎপাদনমুখর পরিবেশ দেখে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রশংসা করেন।

এছাড়া দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং জাতীয় উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


আমার বার্তা/জেএইচ