ঢাকার প্রায় সব পুলিশ চেঞ্জ করছি, অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিজিবি সদর দপ্তর পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘একটু উন্নতি’ হলেও ‘সন্তোষজনক নয়’ বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা চেঞ্জ করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক করতে সময় লাগবে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্রিমিনালকে (অপরাধী) কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া যাবে না। সে যত প্রতাপশালী হোক না কেন। আগে অনেক সময় অনেক প্রতাপশালী অপরাধী ছাড়-টার পেয়ে যেত। সেটা আর হতে দেওয়া যাবে না।

সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট ঘিরে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলেও সন্তোষজনক নয় বলে স্বীকার করেছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে একটু উন্নতি হয়েছে, কিন্তু আরও উন্নতি হওয়া দরকার। খুব একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে যে চলে গেছে, তা না। এখন যদি বলেন- আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন। জাস্ট সন্তোষজনক কিন্তু এটা আরও ভালো হওয়া দরকার।

পরিস্থিতির উন্নতিতে সময় চেয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যেহেতু আপনারা জানেন ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা চেঞ্জ করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক করতে সময় লাগবে। বিজিবিতেও অনেক চেঞ্জ করা হয়েছে। এজন্য একটু সময় লাগছে, তবে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। সামনের দিকে আরও উন্নতি হবে। 

বিজিবিকে এক গুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়ার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, জনগণের সঙ্গে একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক যেন বজায় রাখে। বিজিবির যেহেতু বর্ডার ভিত্তিক কাজ করতে হয়, জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হয়। জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলেই কাজ করতে সুবিধা হয়। তারাই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে।

সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য প্রবেশ ঠেকাতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অনেক সময় ফেনসিডিলসহ অন্যান্য চলে আসে। কোনো অবস্থায় যেন আর না আসে। এগুলো আমাদের জাতির অনেক অনেক ক্ষতি করছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিষেধ। কিন্তু মানবিক একটা দিক রয়েছে। ওই বেল্টে আপনারা জানেন সারাদিনই গুলাগুলি হচ্ছে। এদের কিন্তু আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, খুব একটা বেশি রোহিঙ্গা ঢুকতে পারে না। আমাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে, এখন ১৩ লাখের মতো হয়ে গেছে। তবুও কিছু ঢুকছে আমিও অস্বীকার করি না।

বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবে এবং অবশ্যই হতে হবে। দ্রুতই তদন্ত টিম করা হবে। যেহেতু অন্যান্য অনেকগুলো হচ্ছে, এটাও হয়ে যাবে। কি হবে বলতে পারবো না। তবে যে কোনো একটা হইতেই হবে।

রমনা থানা ৫০ গজের মধ্যে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে এটা আমি জানি না। এ জন্য উত্তরটা আমি দিতে পারবো না। আমি গিয়ে দেখবো।

এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।


আমার বার্তা/এমই