আমরা প্রশাসক দিয়ে দেশ চলতে দেখতে চাই না: সারজিস আলম
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:
আমরা প্রশাসক দিয়ে দেশ চলতে দেখতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিলর কর্তৃক 'ছাত্র-গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী সিটি ও পৌর কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে পুনর্বহালের দাবি ও বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে' আয়োজিত কাউন্সিলর সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা প্রশাসক দিয়ে দেশ চলতে দেখতে চাই না। আমলারা আমলাতন্ত্রে তাদের যতটুকু টেরিটরি তারা সেখানে কাজ করবে। জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সাথে তাদের যতটুকু পরিধি সেখানে কাজ করবে। এই কম্বিনেশন যদি না থাকে তাহলে দিন শেষে যেভাবে রাষ্ট্রের ফাংশন করার কথা সেভাবে ফাংশন করা সম্ভব নয়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে যে জিনিসটা পেতে চাই, আপনাদের (কাউন্সিলর) মধ্যে এমন কারো কথা আগামীতে যেন আমরা না শুনি, যারা ক্ষমতা পেয়ে আবার সেই ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেছে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে- জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত, তাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্দশা যেভাবে বুঝে, তাদের সাথে যেভাবে মিশে সেটা কোনো আমলা কেন, যারা ওই বিভিন্ন অফিসে বসে থাকে- যতবড় অফিসারই হোক না কেন তাদের পক্ষে বুঝা সম্ভব না।
জনপ্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা প্রদানের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে শুধু কাউন্সিলর নয়, মেম্বার হোক; চেয়ারম্যান হোক; এমপি হোক; বা মন্ত্রী হোক, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থনৈতিক কাঠামো বিবেচনায়, মানুষের খরচ বিবেচনায় নির্দিষ্ট একটি পদে একজন জনপ্রতিনিধির মাসিক যে একটি খরচ হয় তেমন একটি স্ট্যান্ডার্ড খরচ তাকে সম্মানী ভাতা হিসেবে অবশ্যই দেয়া উচিত। আপনি যদি সেটা না দেন আর চারদিক থেকে এটার জন্য ওটার জন্য চাপাচাপি করেন তাহলে দিনশেষে তাকে অন্য কোনো না কোনো উপায় বের করতে হয়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে আপনাদের শুধু একটি কথাই বলি, জনগণ এবং যারা জনগণের জায়গা থেকে কাজ করবে আমরা তাদের মধ্যে ব্রিজ হয়ে কাজ করতে চাই।
সারজিস আলম বলেন, আমরা আমাদের জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে একটা আহ্ববান করি, সেটা হচ্ছে- পুরো বাংলাদেশের মানুষের নতুন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তাদের মনের ভেতর থেকে একটি প্রত্যাশা...আপনারা কে কোথায় যাবেন সেটি আপনাদের বিষয়, কিন্তু মনে রাখবেন- আপনারা যদি সেই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আগামী বাংলাদেশে কাজ না করেন তাহলে চোখের শেখ হাসিনার পরিস্থিতিটা একবার অনুমান করবেন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি কাজ না করেন তাহলে এক বছর, দুই বছর, পাঁচ বছর পার পেয়ে যাবেন কিন্তু তারপর পরিস্থিতি এবং অবস্থা তার (শেখ হাসিনা) মতোই হবে। তাহলে তার অবস্থাই যদি এমন হয় তাহলে আমাদের মতো ছোটখাটো মানুষের অবস্থান জনগণ কোথায় নিয়ে ফেলবে সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে আমরা আপনাদের সাথে আছি। আমরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আমরা আরও বিশ্বাস করি- দেশের মানুষকে সর্বোপরি বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে সামনে রেখে আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।, যৌক্তিক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
আমার বার্তা/এমই