দুটি ছাড়লেও এখনও একটি কার্গো আটকে রেখেছে আরাকান আর্মি
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন
চার দিন পর মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজত থাকা দুটি পণ্যবাহী কার্গো কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ফেরত আসলেও এখনও একটি রয়েছে তাদের হেফাজতে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আটকে রাখা কার্গোর মধ্যে দুটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাফ নদের জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে পৌঁছে। তবে এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরও একটি পণ্যবাহী কার্গো আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে। সেখানে ৩০ হাজার বস্তা মালামাল রয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় আটক পণ্যবাহী তিনটি কার্গো আটক করে নিজেদের হেফাজতে নেয় আরাকান আর্মি। এসব কার্গোতে ৫০ হাজার বস্তা শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। ফেরত আসা দুটি কার্গোতে ২৭ হাজার ৭২২ বস্তা মালামাল রয়েছে। সেগুলো বন্দরের কার্যক্রম শেষে খালাসের প্রস্তুতি চলছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা দুটি পণ্যবাহী কার্গো ঘাটে পৌঁছেছে। এখনও আরও একটি কার্গো তাদের হেফাজতে রয়েছে। ফেরত আসা কার্গো দুটির কার্যক্রম শেষে মাল খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
জানতে চাইলে টেকনাফ স্থলবন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘তল্লাশির নামে চার দিন পর দুটি পণ্যবাহী কার্গো ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। এখনও আরও একটি সেখানে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা টেকনাফ ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য সরকারের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।’
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেড় মাস পর গত শনিবার ইয়াংগুন থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নাফ নদের মোহনায় সে দেশের জলসীমায় নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো আটকে দেয় আরাকান আর্মি। এর মধ্যে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ ৫০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো.আয়াছ, এম এ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকের। সর্বশেষ সোমবার সকালে সাতুরু এবং এমভি হারকিউলিস নামে দুটি পণ্যবাহী কার্গো ফেরত এসেছে। সেখানে ২৭ হাজার ২২২ বস্তা মালামাল রয়েছে।’
এ বিষয়ে আমদানিকারক কায়েস এন্টারপ্রাইজের মালিক নুরুল কায়েস সাদ্দাম বলেন, ‘আরাকান আর্মির হাত থেকে দুটি পণ্যবাহী কার্গো ফেরত এসেছে। আরও একটি কার্গো তাদের হেফাজতে রয়েছে। সেখানেও আমাদের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। এমনিতে রাখাইনে যুদ্ধের পর আমাদের ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। তার ওপর এ ধরনের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে রয়েছে। ফলে এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, পণ্যবাহী দুটি কার্গো ফেরত এসেছে। এ বিষয়ে আরো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
আমার বার্তা/জেএইচ