তিস্তার অর্থনীতিকে আমূল বদলে দেবে চীনের কোম্পানি

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৫, ১৭:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

 

দ্বিতীয় দিনের মত চীনের কোম্পানি 'পাওয়ার' তিস্তা পাড়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মত রংপুর জেলা প্রশাসক হলরুমে চীনের পাওয়ার চায়না কোম্পানি ডাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলে বাড়বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। গড়ে উঠবে নদীকেন্দ্রিক আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প কল-কারখানা। তৈরী হবে অর্থনৈতিক জোন হবে কর্মসংস্থান। দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান নদী পাড়ের মানুষ ।

প্রতিবেশি দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিরোধে অভিন্ন তিস্তা নদীর পানি-বন্টনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে না পারায় ঝুলে থাকতে হয়েছে বছরের পর বছর। এদিকে জীবন রেখা তিস্তা মরণ দশায় পরিনত হয়েছে। প্রতি বছর বন্যা আর ভাঙ্গনে তিস্তাপারের আবাদী জমি,ক্ষেত খামার বসতভিটা,মসজিদ-মন্দির,হাট-বাজারসহ বহু স্থাপনা খেয়ে ফেলছে। ভাঙ্গনে প্রতিবছর উদ্বাস্তু হয় নদী তিরোবর্তী হাজার-হাজার মানুষ।সব মিলিয়ে তিস্তায় বার্ষিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ হাজার কোটি টাকা।

পাওয়ার চায়না কোম্পানি তাদের সমিক্ষায় তুলে ধরেন নতুন এই প্রকল্প পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের অর্থনীতি আমূল বদলে দেবে। পরিণত হবে অত্যাধুনিক জনপদে। বর্ষা মৌসুমে কৃত্রিম জলাধারে পানি ধরে রেখে সারা বছর নদীর অববাহিকায় সেচপরিচালনাসহ বাঁধের দুই পাশে থাকবে সমুদ্র সৈকতের মতো মেরিন ড্রাইভ। যাতে পর্যটকরা লং ড্রাইভে যেতে পারেন। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হবে। নদী পাড়ের দুই ধারে গড়ে তোলা হবে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন নগরী। টাউন নামের আধুনিক পরিকল্পিত শহর, নগর ও বন্দর গড়ে তোলা হবে।

পরে তিস্তাপারের মানুষ তাদের মতামত তুলে ধরেন। কীভাবে তারা ভাঙ্গনে প্রতিবছর উদ্বাস্ত হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন সে গল্প তুলে ধরছেন। দ্রুত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি তোলেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।

আমার বার্তা/এমই