ছাত্র ফেডারেশন-ছাত্র ইউনিয়ন নেতাসহ ১২ জনের নামে মামলা
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ১৭:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে রমনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে রমনা থানার এসআই আবুল খায়ের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আরও অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, মামলায় ১২ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন— অংঅং মারমা (২৫), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ইডেন মহিলা কলেজ শাখা সভাপতি সুমাইয়া শাহিনা (২৫), জবি ছাত্র ইউনিয়নের আদ্রিতা রায় (২৩), ছাত্র ফেডারেশনের আরমান (৩০), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমিন রহমান (২৫), বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা রিচার্ড (২৬), ছাত্র ফেডারেশনের হাসান শিকদার (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের (ঢাবি) সীমা আক্তার (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌকত আরিফ (২৬), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাঈন আহাম্মেদ (২৪), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহাম্মদ চৌধুরী (২৫)। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৮০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের নিরাপত্তা ও রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য অনুরোধ করা হলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে মারমুখী আচরণ শুরু করতে থাকে।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের অনুরোধের কোনো তোয়াক্কা না করে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যারিকেড অতিক্রম করার চেষ্টা করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে। একই সঙ্গে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশ সদস্য রায়হান, কাউছার, মো. রোহান, মো. সাইফুল ইসলাম, রাজারবাগের নারী পুলিশ সদস্য আদিবা, রুবিনা গুরুতর আহত হন।
পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আমার বার্তা/এমই