ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আহছানিয়া মিশনের ৯ সুপারিশ
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ১৮:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় (রোডক্র্যাশ) প্রতিদিনই ঝরছে প্রাণ। গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে আগে ও পরে সারা দেশে ৮ দিনে ১১০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত ও ২০৮ জন আহত হয় বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএ-এর তথ্য বলছে, গত ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১২ দিনে ২১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১৫ জন নিহত ও ২৭৮ জন আহত হন। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বহু পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কমছে না এর ব্যাপকতা। তাই আসন্ন ঈদুল আজহায় দুর্ঘটনা রোধে ৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সভায় একটি সমন্বিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ ৯টি সুপারিশ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
- আহছানিয়া মিশনের সুপারিশগুলো হচ্ছে—
১) সড়কে নিরাপদ গতি নির্ধারণ করা ও অতিসত্বর গতি নির্ধারণ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন করা।
২) চালকদের কর্মঘণ্টা অবশ্যই নিশ্চিত করা।
৩) ঈদযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে নছিমন, করিমন, টেম্পুসহ সকল প্রকার ব্যাটারিচলিত যানবাহন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করা।
৪) পরিবহনের পাশাপাশি পথচারী পারাপার ও তাদের নিরাপদে চলাচলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫) ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চালক-আরোহী উভয়েরই মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন করা।
৬) মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন অপসারণ করা।
৭) নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মোটরযান পরিচালনা না করা সংক্রান্ত বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করা।
৮) যানবাহনে চালকসহ সব যাত্রীর সিটবেল্ট ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন করা ও পাশাপাশি মোটরযানে (বিশেষ করে কার/জিপ/মাইক্রোবাসে) শিশু সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় এনে শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিশু সুরক্ষিত আসন ব্যবস্থা প্রচলন সংক্রান্ত বিধি-বিধান জারি করা।
৯) সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও এ সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধনের জন্য একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করা।
ইকবাল মাসুদ বলেন, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে সড়কের নিরাপত্তা প্রাধান্য পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটি হয়নি। অথচ আমাদের দরকার সড়ক নিরাপত্তা আইন, যেখানে পরিবহন ও চালকদের পাশাপাশি যাত্রী ও পথচারীসহ সবার সুরক্ষার বিষয়টিকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আমার বার্তা/এমই