দাবি না মানা পর্যন্ত একচুল সরবো না: জবি শিক্ষক সমিতি
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫, ১৫:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেছেন, দাবি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ার আর সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী একাট্টা।
এসময় আন্দোলনে সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চান তিনি।
শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবহেলিত, বঞ্চিত এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এই বৈষম্যের নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই একাট্টা। সুতরাং আমাদের দাবি পূর্ণাঙ্গরূপে মানতে হবে। আমরা এমন একটি পর্যায়ে উপস্থিত হয়েছি, এখান থেকে ব্যাকে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চাই।
আন্দোলন কাকরাইল পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না হুঁশিয়ারি করে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে একচুল সরবো না। আমাদের রক্তের উপরে প্রতিষ্ঠিত যে সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, হুমকি-ধামকি দেয়, যদি স্টিম রোলার চালানোর প্রচেষ্টা করে তাহলে সেটাকে রুখে দেবো। এ আন্দোলন তখন কাকরাইল পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা কোথায় যাবে, জানি না, এর দায় দায়িত্ব আমরা নেবো না।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।
আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে কাকরাইল মন্তব্য করে অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়িত,বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। আমরা এমন এক স্থানে উপনীত হয়েছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই কাকরাইল মোড় আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি হুমকি-ধামকি দেয়, আমরা সেটাকে রুখে দেবো।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনবৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় নিয়ে বাস্তবায়ন করা।
গত বুধবার (১৪ মে) বেলা পৌনে ১২টায় চার দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা দিকে রওনা হয়। পদযাত্রা প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেট বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মৎস্য ভবনে ফের পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন জবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে আসতেই অতর্কিত টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।
আমার বার্তা/জেএইচ