‘সমুদ্রবন্দর রক্ষার কাজে নৌবাহিনীকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছে সরকার’

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ১৩:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ-পরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পায়রা বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। দ্বিতীয়বার পরিদর্শনে দেখেছি খুব তাড়াতাড়ি সম্পন হওয়ার পথে আছে। পায়রা বন্দরকে নিয়ে আমাদের দেশে তিনটি সমুদ্রবন্দর হবে। এই তিনটি সমুদ্রবন্দর রক্ষার কাজে আমরা নৌবাহিনীকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে আমাদের তিনটি বন্দর এবং একটি গভীর সমুদ্র বন্দরসহ ছোট ছোট বন্দরগুলো নিয়ে পোর্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরি করার কাজে আমরা নিয়োজিত আছি।

রোববার (২৫ মে) সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌ ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২৫ ব্যাচের ৪৬৩ জন নবীন নাবিকের বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণ শেষে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এ সময় তিনি নবীনদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি নয়, দেশের প্রয়োজনে জীবন বিলিয়ে দিতে হবে। দেশের সমুদ্র সীমা রক্ষার দায়িত্ব তোমাদের। ভবিষ্যতে তোমরাই ভবিষ্যতে দেশের সমুদ্র সীমানা রক্ষার পাশাপাশি গভীর সমূদ্রের নীল জলরাশি রক্ষা করবে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সশস্ত্র সালাম গ্রহণ করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী নাবিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ বছর ‘নৌপ্রধান পদক’ অর্জন করেন মো. গালিব আল মাহাদী অর্ণব। দ্বিতীয় হয়েছেন মো. হাসিব হোসেন এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন নাঈম গাজী।

এসময় অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নবীন নাবিকদের গর্বিত অভিভাবক এবং গণমাধ্যম কর্মীরা।

পটুয়াখালীর বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌ ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এ আয়োজনে দেশপ্রেম ও কর্তব্যবোধে উজ্জীবিত নবীনরা পতাকা হাতে শপথ নেন দেশের জন্য জীবন উৎসর্গের। দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা ও সাহসিকতার অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে নবীন নাবিকদের এই পদার্পণ ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক বার্তা দেয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আমার বার্তা/জেএইচ