দুদকের অভিযান

রাজউকের রূপসা অ্যাপার্টমেন্ট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫, ১১:১৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গুলশানের ‘রূপসা অ্যাপার্টমেন্ট’ প্রকল্পে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।

বুধবার (১৮ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম গুলশান-২ এর ওয়েস্টিন হোটেলের পেছনে অবস্থিত রূপসা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে অভিযান চালায়। অভিযানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রাজউক কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয় এবং প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের আমলে গোপনে রাজনৈতিক নেতা, তাদের সন্তান এবং বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের এ প্রকল্পের মূল্যবান ফ্ল্যাটগুলো বাজারমূল্যের তুলনায় কম দামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুদক অভিযান চালায়। অভিযানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রাজউক কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয় এবং প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বরাদ্দ কার্যক্রমে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে বলে দুদক টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বরাদ্দ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা যাচাইয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দের আবেদন, বরাদ্দ প্রদান সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং বরাদ্দপ্রাপ্তদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ শেষে কমিশনের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে এবং প্রয়োজনে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেকটা গোপনেই নিজেদের পছন্দের লোকদের রাজউকের রূপসা অ্যাপার্টমেন্ট (গুলশান ওয়েস্টিনের পেছনে) প্রকল্পের ফ্ল্যাটের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এ তালিকায় রাজনৈতিক নেতা, তাদের সন্তান, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা কিংবা তাদের সন্তানরা রয়েছে। তালিকায় থাকা বাকিরা কোনো না কোনোভাবে সরকারি কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে এসব মূল্যবান ফ্ল্যাট তুলনামূলক কম দামে বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব ফ্ল্যাট প্রশাসন ক্যাডারের লোক বা সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে কিনলেন? যেমন– সাড়ে ১৪ হাজার টাকা স্কয়ার ফিট হিসেবে ৩০৯৯ স্কয়ার ফিট ফ্ল্যাটের দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। গাড়ি পার্কিং ও ইউটিলিটি স্পেসের দাম ছাড়া এসব ফ্ল্যাট কিনতে হয়েছে।

বিলাসবহুল এসব ফ্ল্যাট ও প্লট সাবেক এমপি, রাজউকের সদস্য, সরকারি সাবেক আমলাসহ অনেকে বরাদ্দ পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


আমার বার্তা/জেএইচ