খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে ২৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে প্রতারণার মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মোতাল্লেছ হোসেন নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে অকো-টেক্স লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তিন মাসের ব্যবধানে সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় মোতাল্লেছ হোসেনের একাধিক ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। এরপর তার মোট ৯টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। অনুসন্ধানে উঠে আসে, এসব হিসাবে মোট ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। অথচ তার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী, তার ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৩৪ লাখ টাকা।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিএফআইইউ সন্দেহ করছে, খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে মোতাল্লেছ ও তার সহযোগীরা কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছেন। তবে এই অভিযোগ এখনও যাচাই-বাছাই ও প্রমাণের পর্যায়ে রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে মোতাল্লেছ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ব্যবসার সুবিধার্থে নিজস্ব টাকা নিজেরই বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করেছি, সেটিকে পাচার হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে সরকারের একজন উচ্চপর্যায়ের আইন কর্মকর্তা ও বিএফআইইউয়ের কিছু কর্মকর্তা ষড়যন্ত্র করছে। এরই মধ্যে কর রিটার্নে সাড়ে ৫ কোটি টাকার সম্পদ দেখিয়েছি। তবুও আমাকে ‘লাপাত্তা’ বলা হচ্ছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সম্মানহানিকর।’

মোতাল্লেছ বিএফআইইউ’র প্রধান ও পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গত ২০ মে হিসাব মুক্ত করার আবেদনও করেছেন। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করেননি বলেও জানান তিনি।

ঘটনার বিষয়ে বিএফআইইউয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোতাল্লেছ হোসেনের হিসাবে এখন পর্যন্ত কোনো পাচার বা অপরাধজনিত অর্থের সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং একই অর্থ একাধিক বার স্থানান্তর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য তার ফ্রিজ করা হিসাব খুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।



আমার বার্তা/জেএইচ