শিক্ষা উপদেষ্টার ক্লাসে ফেরার আহ্বানে ‌‘না’, আমরণ অনশনে শিক্ষকরা

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে টানা ৯ দিন ধরে আন্দোলন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। অবস্থান কর্মসূচির পর এখন তারা অনশনে বসেছেন। একই সঙ্গে চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতিও। এতে সারাদেশের ৩০ হাজারেরও বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচল হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা।

এদিকে, শিক্ষকদের টানা আন্দোলনের মুখে বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা) করেছে সরকার। রোববার (১৯ অক্টোবর) এ নিয়ে আদেশ জারির পর শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার আশা প্রকাশ করেন যে, ‘শিক্ষকরা এবার ক্লাসে ফিরে যাবেন।’ তাদের প্রতি বিশেষভাবে শ্রেণিকক্ষে ফেরার আহ্বানও জানান।

তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সেই আহ্বান ‘নাকচ’ করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তারা আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) থেকে কর্মসূচি আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে সব শিক্ষক ঢাকায় চলে আসবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে আমাদের সায় নেই। আমরা ৫ শতাংশের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেছি। ২০ শতাংশের নিশ্চায়তা না নিয়ে শিক্ষকরা কোনোভাবেই ক্লাসে ফিরবে না।’

তিনি বলেন, ‘এতদিন আমরা অবস্থান কর্মসূচি করছিলাম। অনশনও চলছি। তবে এবার আমরা আমরণ অনশন করবো। পাশাপাশি আজ শিক্ষক সমাবেশ করা হবে। এতে সারাদেশ থেকে আসা লক্ষাধিক শিক্ষক অংশ নেবেন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। যদি কোনো ধরনের হামলা শিক্ষকদের ওপর হয়, তাহলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।’

গত ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের ওপর শতাংশ হারে বাড়িভাড়ার দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করেন। সেখান থেকে দুই মাসের আলটিমেটাম দেন। শিক্ষকদের দাবি উপেক্ষা করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় মাথাপিছু ৫০০ টাকা হারে বাড়িভাড়া দিতে সম্মত হয়। বিষয়টি ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষকরা।

১২ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। একই দিন বিকেলে তারা জনভোগান্তি এড়াতে প্রেস ক্লাব ছেড়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন। একই সঙ্গে প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি করছেন। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।


আমার বার্তা/জেএইচ