ইউনিসেফ প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম মালদ্বীপে নিযুক্ত ইউনিসেফ প্রতিনিধি ড. এডওয়ার্ড অ্যাড্ডাই-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মালের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উষ্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে শিশু কল্যাণ, শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন এবং বিশেষ করে মালদ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী শিশুদের অন্তর্ভুক্তি ও সুযোগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। হাইকমিশনার বৈঠকে উল্লেখ করেন যে, আজকের বিশ্বে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, শিশুদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় কার্যক্রম শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি শান্তি, কূটনীতি এবং টেকসই উন্নয়নের ভিত্তিও বটে।

ড. এডওয়ার্ড অ্যাড্ডাই মালদ্বীপের অর্থনীতিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি জানান, মালদ্বীপে অবস্থানরত সব শিশুর, বিশেষ করে বাংলাদেশি শিশুদের, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও অনুরোধ করেন, ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশি শিশুদের কোনো প্রাথমিক সামাজিক সেবার প্রয়োজন হলে ইউনিসেফকে অবহিত করার জন্য।

ইউনিসেফ প্রতিনিধি জানান, ইউনিসেফ মালদ্বীপ, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের কল্যাণ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সচেতনতা বিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণ করতে চায়।

এ ছাড়াও, অ্যাড্ডাই হাইকমিশনারকে, শিশু ও শিক্ষাবিষয়ক তার দৃঢ় অঙ্গীকার এবং নেতৃত্বকে স্বীকৃতি জানিয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব শিশু দিবস-এর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকে উভয় পক্ষ শিশু উৎসব, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সৃজনশীল কার্যক্রম আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করেন, যা শিশুদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তি, আনন্দ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করবে। অ্যাড্ডাই প্রস্তাব করেন, ইউনিসেফ মালদ্বীপ, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, মালদ্বীপ সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ে তুলে শিশুদের জন্য আরও শক্তিশালী সামাজিক সেবা কাঠামো গড়ে তোলা যেতে পারে।

প্রত্যুত্তরে নাজমুল ইসলাম ইউনিসেফের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিশুদের কল্যাণ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক, কূটনীতি ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক যৌথ উদ্যোগ দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক আরও গভীর করবে এবং প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের কল্যাণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৈঠকটি অংশীদারিত্ব ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে শেষ হয়, যেখানে বাংলাদেশ ও ইউনিসেফ উভয়েই মালদ্বীপে প্রতিটি শিশুর জন্য একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহানুভূতিশীল পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।