অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি: সেনা সদর

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার চাকরির অবস্থা সম্পর্কে সরকার এখনও স্পষ্ট করে নির্দেশনা জারি করেনি বলে জানিয়েছে সেনাসদর।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সেনা সদরের এজি শাখার পার্সোনেল সার্ভিসেস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আইসিটিতে অভিযুক্ত সেনাকর্মকর্তারা এখনো চাকরিতে বহাল আছেন কি না ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর বলেন, 'বিষয়টি আইনি ও প্রক্রিয়াগত কাঠামোর মধ্যে পড়ে। 

৬ অক্টোবর প্রকাশিত আইসিটি আইনের তৃতীয় সংশোধনীতে সরকারি চাকরিতে অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়টি এসেছে। এখানে কোনো আইনি জটিলতা নেই। কিন্তু ব্যাখ্যার বিষয় আছে, কারণ সংশোধনীটি নানা দিক থেকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং স্পষ্ট নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। যদি ‘ডিসকোয়ালিফিকেশন’ বা অযোগ্যতা মানে চাকরিচ্যুতি হয়, তাহলে সেই চাকরিচ্যুতি কার্যকর করার প্রক্রিয়াটা সংশোধনীতে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে পাবলিক অফিস বা সরকারি পদ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, সেটিও আরও পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার। আমরা আশা করি, বিষয়টি ন্যায়সঙ্গতভাবে নিষ্পত্তি হবে এবং ইতিবাচক সমাধান পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে আইসিটি আইনে সেনা কর্মকর্তাদের বিচারসংক্রান্ত ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর বলেন, সেনা আইন ১৯৫২ এবং আইসিটি আইন ১৯৭৩–দুটোই বিশেষ আইন।

এই দুটি বিশেষ আইন মুখোমুখি দাঁড়াবে না। মামলা আইসিটি আইনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আছি। আমরা চাই বিচার প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হোক।

এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, গুম ও হত্যার শিকার যারা হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে। একইসঙ্গে আমাদের কর্মকর্তাদের অধিকারের বিষয়েও আমরা সচেতন। আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এগোবো। যদি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে বিচার সেনা আইনের আওতায় হবে, আমরা তার জন্য প্রস্তুত।


আমার বার্তা/এমই