পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানা ও ঘনবসতি ঝুঁকিপূর্ণ, স্থানান্তর জরুরি
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

কেমিক্যাল কারখানা, ঘনবসতি ও বিল্ডিং কোড অমান্যসহ নানা কারণে রাজধানীর পুরান ঢাকা এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের ঝুঁকি বিবেচনায় এসব এলাকা থেকে সব ধরনের কেমিক্যাল কারখানা নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের পাশাপাশি ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে শুধু রাজউক নয়, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ঝুঁকি নিরূপণ এবং প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে হস্তক্ষেপের ক্ষমতা রাখতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অপেক্ষা করার সুযোগ নেই, মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে যে সরকার ভূমিকম্প মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
উপদেষ্টা প্রস্তাব করেন, শুধু সরকারি সংস্থা নয়, থার্ড পার্টির মাধ্যমে ঝুঁকি নিরূপণ ও রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় জরিপ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করারও আহ্বান জানান তিনি।
পুরান ঢাকার বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে কেমিক্যাল কারখানা, ঘনবসতি এবং নিয়ম না মানা বিল্ডিংগুলোকে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা না হলে বিপর্যয় এড়ানো কঠিন হবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ধীরগতির সমালোচনা করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অভাবে ঝুলে থাকে, এগুলো দ্রুত কার্যকর করা প্রয়োজন। রাজউককে যথাযথ ক্ষমতা দিয়ে প্রক্রিয়াটি সহজ করা এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, আতঙ্ক নয়, এখন প্রয়োজন পরিকল্পিত উদ্যোগ এবং তা শুরু করার সঠিক রোডম্যাপ।
সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম। এছাড়াও বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস ও প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এ সেমিনারের মাধ্যমে সরকারি ও স্থানীয় উদ্যোগের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দ্রুত নির্ধারণ, স্থানান্তর ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
আমার বার্তা/এমই
