ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  রায়হান আহমেদ তপাদার:

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে দীর্ঘদিনের বন্ধু আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুই মাস আগে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর। এই সফর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার সমর্থনের স্বীকৃতি। দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তারা উভয়েই দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলোকে জোরদার করতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। অভিন্ন মূল্যবোধ, আস্থা ও জনগণের কল্যাণের স্বীকৃতির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস জানান, তারা সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন। দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত রোহিঙ্গা ইস্যুটি সমাধানের জন্য তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি আসিয়ান ফোরামে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন দুই দেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর জোর দেওয়া হয় এবং দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে নিবিড়ভাবে কাজ করতে দৃঢ় অঙ্গীকার ও সংকল্প ব্যক্ত করেছে তাদের সরকার। বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় বসবাস ও কাজ করেন। এর মধ্যে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ অভিবাসী হয়েছেন। মালয়েশিয়া বাংলাদেশে অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কয়েকটি কোম্পানিসহ মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং এখন শিক্ষাসহ আরও বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক।

এই সফরটি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর এবং টেকসই বন্ধুত্বের অভিব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে একমত হয়েছেন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দুই নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আনোয়ার ইব্রাহিম। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো উদ্যোগ। কিছুদিন আগে বিমানের টিকিট স্বল্পতাসহ সংকটময় পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকদের যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। মালয়েশিয়া যেতে বাংলাদেশ সরকার কর্মীপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করলেও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত এজেন্সিগুলো সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যনুযায়ী, কর্মীপ্রতি ব্যয় ছিল ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। গত ৩১ মে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে মালয়েশিয়া। আবার চালুর জন্য আলাপের সঙ্গে আগের দুবারের মতো সিন্ডিকেটের আশঙ্কাও করছেন ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটের তৎপরতার প্রশ্নে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, এ ক্ষেত্রে অতীতের পদ্ধতি ভেঙে দিয়েছেন তারা। এখন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিয়োগ হচ্ছে। ওই ১৮ হাজার কর্মী সব ধরনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে এবং এটা তাদের দোষ নয়। সুতরাং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও পরিবর্তন করা আমাদের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ পাবেন সেই ১৮ হাজার কর্মী। দিন দিন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকার দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে পারলে এসব অভিবাসী ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগে সুবিধা করে নিতে পারবে। এতে মালয়েশিয়ায় এ দেশের কর্মীদের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে।


অন্তর্বর্তী সরকার দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পুরোনো বন্ধু হওয়ার সুবাদে দেশ সংস্কার কার্যক্রমে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পাবেন এই প্রত্যাশা করেছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগী থাকব।' দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে, বাংলাদেশের একার হাতে নয়। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয়, যা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’ ড. ইউনূস বলেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কারণ, এটি মালয়েশিয়ার জন্যও একটি সমস্যা, সেখানেও স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমরা আসিয়ান, মালয়েশিয়া সরকার এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’ ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের দুটি দিক তুলে ধরেন। ৭ বছর ধরে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে এবং এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রতিবছর গড়ে জন্ম নেওয়া ৩২ হাজার নতুন শিশু।

রোহিঙ্গাদের জন্মহার নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয়, তাদের জীবনে কী ঘটছে, সেটাই আসল ব্যাপার। তরুণদের একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। এটা ক্ষুব্ধ তরুণদের একটি প্রজন্ম। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এছাড়াও পুরো বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো এটি একটি টিকিং টাইম-বম্ব, যা যেকোনো উপায়ে বিস্ফোরিত হতে পারে। এছাড়াও চতুর্থ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে ড.ইউনূস আরও বলেন,বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রফতানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কথা বলেছি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি এবং ভিসা সহজীকরণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।এছাড়া আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বৈঠকে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব, ছাত্র ও জনগণের আত্মত্যাগ এবং বিগত সরকার সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা।উল্লেখ্য, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৪ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম খুব দ্রুত বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাতে ফোন করে এ ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তাঁর এই সফরে দেশটির শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে চলতি বছর মে মাস থেকে বন্ধ থাকা শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে আর কোনো বাধা থাকলো না।মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশ অন্যতম শীর্ষ অংশগ্রহণকারী দেশ। বিশেষ করে দেশটির নির্মাণ, উৎপাদন ও কৃষি খাতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করছেন।

তবে অদক্ষ শ্রমিক, কম মজুরি, অবৈধ অভিবাসন, শ্রমিকদের জীবনমানের দুর্দশাসহ নানা কারণে এ বছরের ৩০ মে থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ ছিল। তার এই সফরের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধানের আসা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে উভয় দেশের ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির একটি সিন্ডিকেটের অধীনে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সিস্টেমের স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উভয় দেশ। অভিবাসী কর্মী নিয়োগে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভেঙে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের কর্মী নিয়োগের বিষয়ে ১৯৯২ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর বেশ কয়েক বছর ভালোই চলছিল এ শ্রমবাজার। কিন্তু কয়েক বছর চলার পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৯৬ সালে আবার সে দেশের শ্রমবাজার চালু হয়। ২০০০ সালে নিজেদের চাহিদা বিবেচনায় সে দেশের সরকার বিশেষ অনুমোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়। এর মধ্যে থেমে থেমে পাঁচ ছয় বার হয়। ২০০৬ সালে আবার পুরোদমে কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু বিপুল সংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি ধরা পড়ার পর ২০০৯ সালে মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর দুদেশের মধ্যে আলোচনার পর ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে নতুন চুক্তির ভিত্তিতে ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে সরকারিভাবে আবার কর্মী নিয়োগ শুরু হয়। কিন্তু হাসিনা সরকারের আমলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যসহ নানা অভিযোগে ২০১৮ সালে সেটি বন্ধ করে মাহাথির মোহাম্মদের সরকার।

২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার সরকার কর্মী প্রেরণ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্বারক সই করলেও কর্মী নিয়োগ বন্ধ ছিল। কারণ মালয়েশিয়ার তরফ থেকে শুধুমাত্র ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। বাংলাদেশের সরকারও বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে। এরপর থেকে ছয় মাস যাবত দুই দেশের সরকারের মধ্যে শুধু চিঠি চালাচালি হয় এবং যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক বারবার মালয়েশিয়ার তরফ থেকে পিছিয়ে দেয়া হয়। ২০২৩ সালেই শ্রমিকদের কাজ না পাওয়া, নির্যাতন ও নিখোঁজ হওয়ার মতো অভিযোগ প্রকট হয়। বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবনমানের দুর্দশার চিত্র উঠে আসে মালয়েশিয়ার মূলধারার গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন গুলোতেও। এমন প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের ৩০ মের পর মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার আবার বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রচেষ্টায় এবার সেই শ্রমবাজার আবার আলোর মুখ দেখবে বলে আশা করা হচ্ছে।


লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/জেএইচ