স্বাধীনতাকে হৃদয়ে আঁকড়ে ধরে রাখার নাম বিজয়

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  রায়হান আহমেদ তপাদার:

আমাদের মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে গৌরবময় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। দিনটি সাধারণভাবে বাঙালি জাতির জন্য পরম গর্বের। এ দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটা সার্বভৌম দেশের নাম চিরকালের জন্য জন্য এঁকে দিয়েছে বাংলার মানুষ। সমগ্র বিশ্বের কোনো জাতি এতো রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা বা মুক্তি সংগ্রামের বিজয় অর্জন করেনি। অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মোকাবিলা করে লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে এ বিজয় অর্জন করতে হয়েছে শুধুমাত্র আমাদের। এই বিজয় কি শুধুমাত্র পাকিস্তানি শত্রুসেনার বিরুদ্ধে বিজয় ছিল? বিষয়টিকে এতো সরলভাবে দেখলে বিজয়ের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে অনুধাবন করা সহজ হবে না। আমাদের মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছিল ৪৮ সালে রাষ্ট্র ভাষার প্রশ্নে। ভাষা ও সংস্কৃতি অবিচ্ছিন্ন। ভাষা, সংস্কৃতির অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের জাতীয়তাবোধ জাগ্রত হয়। এ জাতীয়তাবোধ আবহমান বাংলার অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় বাঙালি জাতিকে। শুধু কি অসাম্প্রদায়িকতা? ভাষা ও সংস্কৃতির আন্দোলন জাতিকে নব্য ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ, মানুষে মানুষে বৈষম্য বিলোপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তুলে। এ কারণে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র-সংস্কৃতি এবং সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে শহীদের রক্তস্নাত এক মহিমান্বিত বিজয়। বিজয় দিবসের তাৎপর্য অনুধাবন করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে খুঁজতে হবে। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শোষণ মূলক শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন ও তার শেষ অধ্যায়ে টানা ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর অগ্নিঝরা ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পেছনে ছিল দেশ ও বিদেশের বহু মানুষের একক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আমাদের পুরো মুক্তিযুদ্ধের ডিসকোর্সটা মূলত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে উৎসারিত। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতার পথ বেয়েই মূলত মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তাই মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল ও অহংকারের দিন। বিজয়ের মাস দেশপ্রেমের অঙ্গীকার। ১৯৭১ সাল থেকে ১৬ ডিসেম্বর শুধু ক্যালেন্ডারের পাতায় লাল তারিখ নয়, জাতীয় জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সব বাংলাদেশির স্বপ্নমালা আবেগঘন এই দিবস বছর ঘুরে আসে সাড়ম্বরে। জীবনের প্রতিটি সূর্যোদয় বিজয়ের-ই সূচনা। জীবনের প্রতিটি সূর্যাস্ত বিজয়ের-ই বর্ণনা। বিজয় মানে বাঁচার মতো বেঁচে থাকা। বিজয় মানে স্বাধীনতাকে হৃদয়ে আঁকড়ে ধরে রাখা। ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ উজ্জ্বল হয়ে আছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগে ও আত্মনিবেদনে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা মানে দেশ ও জাতিকে সম্মান করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাসের প্রচণ্ডতম রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনে বিশ্বের মানচিত্র একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি বিশ্ব ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। সময়ের ছকবদ্ধ গাঁথুনিতে সারিবদ্ধ হয় ইতিহাস মানবসভ্যতা এবং স্বাধীনতা অর্জনের অমূল্য দলিল। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণার উৎস। মুক্তিযুদ্ধ জাগ্রত চেতনার নাম। মুক্তিযুদ্ধ জাতির জীবনে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন।মুক্তিযুদ্ধ চরম ত্যাগের অমরগাথা কাহিনি।মুক্তিযুদ্ধ জাতির বিবেকের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আনন্দ-বেদনায় মিশিত এক নীরব দলিল হলো মুক্তিযুদ্ধ।

বাংলাদেশের অভ্যুদয় তাই ঐতিহাসিক বাস্তবতা। ইতিহাস অকস্মাৎ তৈরি হয় না। যিনি ইতিহাসের গতিধারা বদলে দেন তিনি নেতা। নেতা তৈরি করে ইতিহাস। ইতিহাস তৈরি করে মানুষ। আর এজন্যই ইতিহাসের পাতায় সংযোজিত হয়ে আছে এক সাগর রক্তের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। প্রত্যেক মানুষই এক-একটি অপার সম্ভাবনার নাম। প্রত্যেকের হৃদয়ের মধ্যে আছে এক অন্তহীন ও দিগন্তহীন জগৎ। এই জগৎটা হলো সততা, নৈতিকতা ও সর্বোপরি দেশপ্রেমে জগৎ। দেশপ্রেমের জগতে উদ্বুদ্ধ হয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে নির্ভীক বাঙালি মুক্তি সেনারা ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালিরা মনের বল ও দেশপ্রেমের অদম্য টানেই পরাশক্তির ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যুগে যুগে এতদ্বঞ্চলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা আপামর জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রাম করেছে। জাতীয় চেতনায় তাই বাঙালি হিসেবে গর্ব করার অনেক কারণ রয়েছে। সুদীর্ঘ দুঃশাসন, শোষণ ও নিপীড়নের বহিঃপ্রকাশের ফলে মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাত মার্চ ১৯৭১-এর ঐতিহাসিক ভাষণ সর্বপ্রণিধাযোগ্য। সাত মার্চ ও বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ইতিহাস দলমত-নির্বিশেষে সব মানুষের। বাংলাদেশের ইতিহাসে সাত মার্চ এক অবিস্মরণীয় দিন। দেশের ইতিহাসের মূল্যায়নে বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার অভ্যুদয়ের প্রামাণ্য দলিল ও ঘোষণাপত্র। যার প্রতিটি শব্দ মুক্তি সংগ্রামের আর স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত ছিল। বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি। বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ধারাবাহিকতার ফল হলো মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলন।

স্বাধীনতা অর্জনের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিল প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষ। অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন স্বাধীন। আমাদের জাতীয় জীবনে বিজয় দিবসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের গৌরবদীপ্ত মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে আমাদের প্রতিশ্রুতি হবে অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল রাষ্ট্র গঠন করা। মহান বিজয় দিবস জাতির জীবনে স্মরণীয়, বরণীয়, চিরস্মরণীয়,অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। অর্থনৈতিক মুক্তি ও স্বাধীনতা রক্ষার নিমিত্তে দীপ্ত শপথ ও বিজয়ের মাসে দেশপ্রেমের অঙ্গীকার গ্রহণের দিন। মুক্তিকামী মুক্তিযোদ্ধারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান আর বাংলা- দেশের স্বাধীনতা বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মুক্তিযোদ্ধাদের মহিমান্বিত ও দুঃসাহসিক বীরত্বের অমর গাথা কাহিনি কোটি কোটি বাঙালি হৃদয়ের মণিকোঠায় চিরজাগরুক হয়ে থাকবে। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ফসল নষ্ট হয়নি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ অধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব বীর শহীদের বীরত্বগাথা কাহিনি ও জীবনী জাতির ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দুঃখের বিষয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও চেতনাকে আজ আমরা হারাতে বসেছি,ভুলতে বসেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিস্মৃত হতে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চিরসমুন্নত রাখা ও নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক চিত্র তুলে ধরা শুধু প্রয়োজনই নয় বরং একান্ত অপরিহার্য।

স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের অসামান্য দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানায়, যেখানে ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য সমন্বিত হয়ে একজাতীয়তার ধারণা প্রতিষ্ঠা করে। তাঁর নেতৃত্বের মূর্তিমান ছবি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, কিভাবে এক শ্বাসরুদ্ধকর ইতিহাসের পটভূমিতে আমরা স্বাধীনতার সূর্য উজ্জ্বল করেছি।

আজকের বাংলাদেশে, যখন আমরা সামনের দিকে এগুচ্ছি, জিয়ার আদর্শ আমাদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে আছে, যা আমাদের ঐক্য ও মানবিকতাকে আরও মজবুত করে। বাঙালি জাতির এক চরম ক্রান্তিলগ্নে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল অসীম সাহসিকতা ও প্রজ্ঞা নিয়ে; চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল, একত্রিত করেছিল এক লক্ষ্য অভীষ্টে। মুক্তিযুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে তাঁর অবদান, জেড ফোর্সের নেতৃত্ব-এগুলো ছিল তাঁর অদম্য সাহসের প্রতীক।শহীদ জিয়া যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, তখন কেউ ধর্ম বর্ণ কোনোকিছুর দিকে তাকায়নি, তাঁর ঘোষণার সাথে ঐক্যমত পোষণ করে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে তিনি যে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আজও আমাদের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। স্বাধীনতার পর, যখন দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছিল সাহসী নেতৃত্বের উপর, তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর উপপ্রধান পদে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বের সেই সময়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও সাহস আমাদের অনুপ্রাণিত করে, যেন তিনি ছিলেন আমাদের আশার আলো-যার সাহস ও নেতৃত্বের কথা জাতির ইতিহাসে চিরকাল অমলিন থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়ের আনন্দ পৌঁছে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে। কালের বাস্তবতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্থান সুমহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হোক-এটাই সবার কাম্য হওয়া উচিত। রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার, মর্যাদা, সম্মান ও মূল্যায়ন নিশ্চিত করা জাতীয় কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ শুধু প্রশংসনীয় নয়, অবিস্মরণীয়। মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বিজয়ের এই দিনে ৭১-এর সকল শহীদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধা।

বিজয় দিবস ঠিক জয়ের উৎসবে নয়, বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো, যারা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাদের সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করা। দেশ রক্ষায় তাদের আত্মাহুতির জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অতিক্রম করে বাংলাদেশ ৫৪ বছরে পা দিয়েছে। ৫৩ বছর খুব কম সময় নয়। এবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে হবে রাষ্ট্রকে আরো মানবিক করে গড়ে তোলার আন্দোলনে; আর এ কাজটি করতে পারে সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে স্বার্থনেশী রাজনীতিবিদদের হাত থেকে।রাজনীতিকে হতে হবে জবাবদিহি মূলক, স্বচ্ছ ও সাধারণ মানুষের সহজ অংশগ্রহণ সমৃদ্ধ। আমরা কি পারব তা করতে? পারতেই হবে আমাদের, কারণ সার্বিক মুক্তিই পারে-বিজয়ের আস্বাদ প্রদান করে প্রাণ-প্রাচুর্যময় একটি দেশ উপহার দিতে।

 

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।


আমার বার্তা/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই