ক্যাম্পাস হোক শিক্ষা বান্ধব, রাজনৈতিক নয়
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাদিয়া সুলতানা রিমি

শিক্ষা একটি জাতির অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। একটি সুস্থ, সুন্দর, এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশই পারে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পথকে মসৃণ করতে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে। তাই আমাদের শিক্ষাঙ্গন হতে হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং একমাত্র শিক্ষার প্রসারেই নিবেদিত।
শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হলো একজন শিক্ষার্থীকে জ্ঞান, নৈতিকতা ও দক্ষতায় পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলা। শিক্ষাঙ্গন এমন একটি স্থান, যেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে, গবেষণা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে। কিন্তু যখন রাজনৈতিক প্রভাব শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করে, তখন শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য বাধাগ্রস্ত হয়। শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের চেয়ে রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে, যা তাদের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করতে পারে।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কুফল
১. শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়া – শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হলে সেখানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। ক্লাস-পরীক্ষা ব্যাহত হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়। ২. সহিংসতা ও ভীতি – রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করে, যা মেধা পাচারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 3. গুণগত শিক্ষার অভাব – শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষার পরিবর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকে, তবে তাদের জ্ঞানার্জনের সুযোগ সীমিত হয়ে যায়। এর ফলে একটি জাতি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ব্যর্থ হয়। 4. শিক্ষকদের স্বাধীনতা ব্যাহত হওয়া – অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শিক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে শিক্ষা দিতে বাধা সৃষ্টি করে। এতে শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মান নষ্ট হয়।
শিক্ষা বান্ধব ক্যাম্পাসের জন্য প্রয়োজন :
রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ:
ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর প্রভাব কমিয়ে এনে শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া। রাজনৈতিক সংঘাত বা হানাহানি থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত রাখা। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলির হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলির হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা:
রাজনৈতিক অস্থিরতা বা সহিংসতা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা এবং তাদের শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিরাপত্তা কর্মী, সিসি ক্যামেরা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিরাপত্তা কর্মী, সিসি ক্যামেরা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শিক্ষাকেন্দ্রিক কার্যক্রম:
শিক্ষা, গবেষণা, এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেওয়া। বিতর্ক, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা। শিক্ষাকেন্দ্রিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে। শিক্ষাকেন্দ্রিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
নিরপেক্ষ প্রশাসন:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করা। নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলির হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলির হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সচেতনতা:
শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রভাব থেকে দূরে থাকার জন্য সচেতন করা এবং তাদেরকে শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চায় মনোনিবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করা। শিক্ষার্থীদের সচেতনতা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সচেতনতা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে।
শান্তিপূর্ণ সমাধান:
ক্যাম্পাসে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা শান্তিপূর্ণভাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা। শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়:
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয় নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয় নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ করতে হবে।
সহনশীলতা ও সম্মান:
ক্যাম্পাসে বিভিন্ন মত ও পথের প্রতি সহনশীলতা এবং সম্মান বজায় রাখা। সহনশীলতা ও সম্মান নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে বিভিন্ন মত ও পথের প্রতি সহনশীলতা এবং সম্মান বজায় রাখতে কাজ করতে হবে। সহনশীলতা ও সম্মান নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে বিভিন্ন মত ও পথের প্রতি সহনশীলতা এবং সম্মান বজায় রাখতে কাজ করতে হবে।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে একটি শিক্ষাবান্ধব, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ স্থানে পরিণত করা সম্ভব, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা ও ব্যক্তিগত বিকাশে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে পারবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ক্যাম্পাস শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ হলো জ্ঞান বিতরণ করা, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা নয়। জাতির ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করতে হলে শিক্ষার পরিবেশকে সবার আগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত করতে হবে। শিক্ষার্থীরা তখনই সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক, সৃজনশীল ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে, যখন তারা একটি রাজনৈতিক নয়, বরং শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাসে শিক্ষা লাভ করতে পারবে। সুতরাং, আসুন সবাই মিলে শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি নয়, শিক্ষার কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে তুলি।
লেখক : শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ।