কেউ চাইলেই জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না: চুন্নু

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য চাই। আইনের সংস্কার চাই, যাতে একজন প্রধানমন্ত্রী যা খুশি তা করতে না পারেন। আমরা নির্বাচন কমিশন আইনের সংস্কার চাই। নির্বাচনকালীন সময়ে কমিশন যাতে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, নির্বাচন কমিশনকে সে ক্ষমতা দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, জনগণের মাধ্যে আমাদের যে গ্রহণযোগ্যতা আছে তা আগামী নির্বাচনে প্রমাণ হবে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মুজিবুল হক চুন্নু এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২৫ বছর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আনুষ্ঠানিকভাবে আনুপাতিক হারে যে নির্বাচনের দাবি করেছিলেন, এতদিন পরে আজ প্রায় সব দলই আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা ভাবছেন। নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। বিদ্যমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আমাদের সংলাপে ডাকেননি, এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এখতিয়ার। আমাদের কাছে সহায়তা চাইলে, জাতীয় পার্টি প্রস্তুত আছে। ২০১০ সালে সংসদে আমি বিচারপতি নিয়োগের আইনবিষয়ক একটি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। বাছাই কমিটি আইনটি পাস করতে সুপারিশ করেছিল। কিন্তু, আওয়ামী লীগ সরকার আইনটি পাসে করেনি।

সংবিধানের ১১৬ ধারার কারণে, রাষ্ট্রপতি অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ ও বদলির মাধ্যমে করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এই ক্ষমতা বাতিল করতে হবে। সংবিধানের ৭০ ধারা বাতিল করতে হবে, যাতে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা উপজেলা পরিষদকে আবারও শক্তিশালী করবো। ১৯৮৩/৮৪ সালের মতো শক্তিশালী উপজেলা পরিষদ চাই আমরা।

মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, বাংলাদেশের ঘুনেধরা সমাজে যুগান্তকারী পরিবর্তন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে ৩৬৪টি উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করেছিলেন। উপজেলা পরিষদে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১৮ জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সেবা জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দিতে সাফল্য পেয়েছিলেন। প্রয়াত বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দিয়ে ওষুধনীতি করেছিলেন, দেশের মানুষ এখন স্বল্প দামে মানসম্মত ওষুধ পাচ্ছে। আবার শতাধিক দেশে বাংলাদেশ এখন ওষুধ রফতানি করছে।


আমার বার্তা/এমই