ছাত্র-জনতার প্রতিষ্ঠিত সরকারের হাতে মানুষের মৃত্যু গ্রহণযোগ্য নয়

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকারের হাতে মানুষের মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি বলেন, যেভাবে একজন যুবককে বাসা থেকে ধরে এনে যৌথ বাহিনী নির্যাতন করে হত্যা করেছে, এটা আমাদের ফ্যাসিবাদী শাসনকেই মনে করিয়ে দেয়। তাহলে যৌথবাহিনীর সদস্যরা কি ফ্যাসিবাদের সেই চরিত্রই ধরে রেখেছে? আমরা সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে পেশাদার বাহিনী গড়ে তুলুন। পেশাদার মানবিক সদস্য ব্যতিরেকে শৃঙ্খলা বাহিনী কাজে সফল হতে পারবে না।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দাবিতে’ এবি যুবপার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আশা করেছিলাম শহীদ, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের চোখের জল আমরা মুছতে পারব। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ আমরাই কাঠগড়ায় দাঁড়ানো।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে তাদের সময়ে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে মানুষ হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যক্তির ব্যাপারে অভিযোগ থাকলে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিনা বিচারে মানুষ মেরে ফেলার আওয়ামী বর্বরতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।

যুবপার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাদীউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি ও আলতাফ হোসাইন।

কর্নেল দিদারুল বলেন, এই সরকার গঠিত হয়েছে ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে। যার মৌলিক দায়িত্বই জনগণের অধিকারকে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া। সেখানে এই সরকারের যৌথবাহিনীর নির্যাতনে মানুষ মারা যাবে এটা হতে পারে না।

কর্নেল হেলাল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হোক সেটা আমরা কোনোভাবেই চাই না। অবিলম্বে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, চব্বিশের ছাত্র-যুব-জনতার বিপ্লবের পরে কোনোভাবেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে স্বল্প সময়ের মধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।


আমার বার্তা/এমই