বিএনপি হয়তো ভাবছে, তারা অবধারিতভাবে ক্ষমতায় আসবে: সারজিস আলম
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫, ১১:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ ও এনসিসি (ন্যাশনাল কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল) প্রশ্নে বিএনপির অবস্থানকে দলীয় স্বার্থকে দেশের স্বার্থের ওপরে প্রাধান্য দেওয়ার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বুধবার (২৫ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিশ্লেষণধর্মী পোস্টে তিনি বলেন, “বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য অনুযায়ী, দলটি প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ ১০ বছরের মেয়াদে একমত। তবে শর্ত থাকে, যদি এনসিসির মতো কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা খর্ব করা না হয়। অর্থাৎ তারা মেয়াদ নির্ধারণকে শর্তসাপেক্ষে মেনে নিতে প্রস্তুত।”
তিনি বলেন, এনসিসি একটি প্রয়োজনীয় কাঠামো যার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন, পিএসসি, দুদকসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশগ্রহণমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ করা সম্ভব। এতে দলীয় অনুগতদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রবণতা কমবে, এবং যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত হবে।
পোস্টে সারজিস আরও লিখেছেন, “যাকে-তাকে বসিয়ে নির্বাচন ডাকাতি, দুদককে অপব্যবহার করে অর্থ লুটপাট কিংবা দলীয় লিস্ট ধরে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ- এসব অনিয়মের সুযোগ রুদ্ধ করাই এনসিসি কাঠামোর লক্ষ্য।”
তবে বিএনপির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তিনি বলেন, “যদি বিএনপিকে শর্ত দেয় হয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছরের সীমা, নয় এনসিসি, তবে তা স্পষ্টভাবে দলীয় সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টাকেই প্রকাশ করে। বিএনপি হয়তো ধরে নিচ্ছে তারা অবধারিতভাবে ক্ষমতায় আসবে! তাই তখন যেন নির্বাহী ক্ষমতা খর্ব না হয় এই আশঙ্কা থেকেই তারা এনসিসির বিরোধিতা করছে।”
তিনি আহ্বান জানান, “বিএনপির উচিত নিজেদের ক্ষমতার জায়গায় না রেখে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেওয়া। এমনকি নিজেদের বিরোধী দল হিসেবেও ভাবলেও এনসিসির যৌক্তিকতা বোঝা সম্ভব।”
সারজিস আলম পোস্টের শেষে বলেন, “যদি আমাকে বলা হয় এনসিসি থাকবে, না কি প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ ১০ বছরের সীমা, তবে আমি নির্দ্বিধায় এনসিসিকে বেছে নেব। কারণ দেশের মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে কোনো আপস করা যায় না।”
আমার বার্তা/জেএইচ