
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী কয়রা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার, সড়ক, পাড়া-মহল্লা ও জনবহুল এলাকায় গণসংযোগ পরিচালনা করেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার এই ব্যাপক প্রচারণায় সাধারণ মানুষের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
গণসংযোগকালে আবুল কালাম আজাদ জনগণের কাছে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট কামনা করে বলেন, “ন্যায় ও ইনসাফের পথই দেশের সঠিক পথ। আমাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ন্যায়বিচার ও সত্যের প্রতীক। জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য আপনাদের সহযোগিতা ও দোয়া প্রয়োজন।”
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বিগত সরকার দেশকে দুর্নীতি, খুন-গুম ও দুঃশাসনের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। জনগণের সেবার দায়িত্ব ভুলে গিয়ে তারা ক্ষমতাকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছে। দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে এক গভীর অসুস্থতা সৃষ্টি হয়েছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আবুল কালাম আজাদ জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব পাওয়ার সুযোগ পেলে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক ন্যায়ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা, আইনের শাসন নিশ্চিতকরণ, দুর্নীতি দমন, নৈতিক সমাজ গঠন এবং জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে তাদের প্রধান অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি সুযোগ দেন, তবে একটি সেবামুখী, জবাবদিহিমূলক ও ন্যায়নিষ্ঠ প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি তরুণ সমাজকে সৎ রাজনীতির পথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
দিনব্যাপী এই গণসংযোগে বাজারের ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, কৃষক, জেলে, গৃহিণী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আবুল কালাম আজাদ। স্থানীয় মানুষেরাও তাদের বিভিন্ন সমস্যা, চাহিদা ও প্রত্যাশা তুলে ধরেন। প্রার্থী তাদের সব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সম্ভাব্য সমাধানের আশ্বাস দেন।
গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন—খুলনা জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি শেখ সাইফুল্লাহ, সদর ইউনিয়ন আমীর জি এম মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই গণসংযোগকে আসন্ন নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রচারণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলেও দলীয় নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন।

