কোটা আন্দোলন
কি পেলাম, কি হারালাম, শান্তির পায়রা ফিরে আসবে কবে ?
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১২ | অনলাইন সংস্করণ
পারভেজ খান
কোটাপ্রথা সংস্কার আন্দোলন। কি হারালাম আর কি পেলাম। এই আন্দোলন আসলে ২০১৮ সালের। সে সময় সহিংস কিছু ঘটেনি। দ্বিতীয় দফায় টানা আন্দোলন শুরু হয় গত ১ জুলাই থেকে। চলছিল অহিংস আন্দোলন। বিরাজ করছিল শান্তিপূর্ণ অবস্থান। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কিছু কিছু জায়গায় পথ আটকে অবস্থান নেয়। কোনো ভাঙচুর নেই। নেই আগুন। দাবি একটাই। কোটা সংস্কার চান তারা। কিন্তু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে ১৬ জুলাই থেকে। আন্দোলনে অনুপ্রবেশ ঘটে বিএনপি ও জামায়াতের। সাথে আরো কিছু রাজনৈতিক দল আর তাদের অঙ্গ সংগঠনের। শুরু হয় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সহিংসতা যা একাত্তর-পরবর্তী প্রজন্ম আগে কখনো দেখেনি। সহিংসতা আর বর্বরতা শুরু হয় ১৫ জুলাই থেকে। নামানো হয় সেনা। জারি হয় কারফিউ। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। তবে শান্তি ফেরেনি। উচ্চ আদালতের রায়ে আন্দোলনকারীদের বিজয় এসেছে। সরকারও পরিপত্র জারি করেছে। অনেকে মনে করছেন, সরকার আরেকটু আগে এই সিদ্ধান্ত নিলে হয়তো এত ক্ষয়ক্ষতি আর প্রাণহানির ঘটনা ঘটত না। সারা দেশে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৯৯ জন।
আজকের এই প্রতিবেদনে একটি ঘটনার উল্লেখ না করলেই নয়। রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। গত ১৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্কের মোড়ে এসে যখন পৌঁছে তখন তিনি ছিলেন সবার আগে। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করলে তিনি বুক পেতে দেন। চিৎকার করে দাবি আদায়ের সেøাগান দিতে থাকেন। একসময় থেমে যায় তার সেøাগান। থেমে যান সাঈদ। দাবি আদায়ে এমন মৃত্যু এর আগে কেউ দেখেননি বলে মনে করেন অনেকেই।
আগেই বলেছি, কোটা প্রথা নিয়ে এবারের আন্দোলন ছিল দ্বিতীয় দফা আন্দোলন। মূল আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আন্দোলন থেমে গিয়েছিল। পরে আদালতের এক রায়ের পরে দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হলো এবার।
ক’বছর পেছনে ফিরে যাই। ২০১৮ সাল। ১৭ ফেব্রুয়ারি। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করে দুটি পক্ষ। ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে কয়েক শ’ চাকরিপ্রার্থী কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। আর সংস্কার প্রস্তাবের নামে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশ সেখানে কাউকেই দাঁড়াতে দেয়নি।
আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ দেয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না রাখা, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।
এরপর কয়েক মাস ধরে মাঝে মধ্যেই চলে আন্দোলন-সমাবেশ। সম্ভবত এপ্রিল ২০১৮। কোনো একদিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে আন্দোলনকারীরা মাঠে নামেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে হাজারো শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী গণপদযাত্রা করে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে বিকেলে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাবেন। রাত পৌনে ৮টায় আকস্মিকভাবে শিশুপার্কের দিক থেকে ১৫-২০ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে করতে শাহবাগ মোড়ের দিকে আসতে থাকে। তারা আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশের আকস্মিক হামলায় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দুই ভাগ হয়ে যান। এরপর থেকেই মূলত আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের ওপর বারবার হামলা করে ছাত্রলীগ। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৮ সালের জুনে জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। আর এ নিয়ে সরকার পরিপত্র জারি করে ৪ অক্টোবর। এরপর ২০২১ সালে এই পরিপত্র বাতিল চেয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ওই পরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
এবার এই নতুন করে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে মূলত এই বছরের জুলাই থেকে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা রাস্তা অবরোধ করেন। পরে আবার সেটি তুলেও নেন। আবার অবরোধ। এভাবেই চলে কয়েক দিন। চার ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন। আবার শুরু হয় অবরোধ। নতুন আরেক কর্মসূচি। সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
এরপর সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন রাখা হয়।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, রাস্তায় সেøাগান দিয়ে রায় পরিবর্তন হয় না। এটা আজকে না, আমি যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ছিলাম, তখন একটি মামলায় বলেছিলাম, রাস্তায় সেøাগান দিয়ে রায় পরিবর্তন করা যায় না। এটি সঠিক পদক্ষেপ না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করছেন। এটি অনভিপ্রেত ও সম্পূর্ণ বেআইনি। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, শিক্ষার্থীরা ‘লিমিট ক্রস’ করে যাচ্ছেন।
লিমিট ক্রস বলি আর আন্দোলন বলি সেটা চলছিলই। ক্রমে সেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। ১৪ জুলাই, শনিবার সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। স্মারকলিপি দিয়ে আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন।
গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ‘কোটা বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘মামলার পর আদালত যে রায় দেন, এতে নির্বাহী বিভাগের কিছু করার নেই। আদালতেই সমাধান করতে হবে।’ শেখ হাসিনা আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে?’
পরে মধ্যরাতে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। মিছিল হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও। রাত ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে বিক্ষোভের পর মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে। জমায়েতে শিক্ষার্থীরা ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’সহ নানা ধরনের সেøাগান দেন।
১৫ জুলাই, সোমবার বেলা ২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুপুর ২টায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ সেøাগানের জবাব ছাত্রলীগই দেবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলন থেকে আত্মস্বীকৃত রাজাকার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতা বা আচরণের প্রকাশ ঘটেছে। এর জবাব দেয়ার জন্য ছাত্রলীগ প্রস্তুত।
এরপরই শুরু হয় মূলত সারা দেশে হামলা আর পাল্টা হামলা। শুরু হয় গুলি। পাল্টা গুলি। ককটেল, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ সবই। সেই যে শুরু যেন এর শেষ নেই। পড়তে শুরু করে লাশ। সংঘর্ষ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এদেশের মানুষ। বন্ধ হয়ে যায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
চলতে থাকে এভাবেই। এ যেন আরেক একাত্তরের সূচনা। আন্দোলনকারীদের সাথে মিশে যায় সেই একাত্তরের দেশবিরোধী জামায়াত শিবির চক্র আর বিএনপির সন্ত্রাসীরা। শুরু হয় আগুন সন্ত্রাস। আন্দোলনের নেপথ্যে বা আড়ালে থেকে এই চক্র শুরু করে জ্বালাও পোড়াও আর নৃশংসতা। বাড়িতে আগুন, গাড়িতে আগুন, টেলিভিশন সেন্টারে আগুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আগুন, সড়ক ভবনে আগুন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন। এখানে ওখানে সবখানে আগুন। পড়তে থাকে একের পর এক লাশ।
পরিবেশ শান্ত করতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আর নেপথ্যে যেখানে জামায়াত শিবির-বিএনপির সন্ত্রাসীরা সেখানে তো আর কিছু বলার অপেক্ষাই থাকে না। কত শত গাড়ি পুড়েছে তার হিসাব নেই। সরকারের ক্ষতি কত শত-হাজার কোটি টাকা তারও হিসাব হয়নি। পুড়িয়ে দেয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় দেশের ইন্টারনেট সেবা। সব কিছু মিলিয়ে অচল হয়ে পড়ে দেশ। অচল হয় দেশের অর্থনীতির চাকা। শুধু অচল বললে ভুল হবে, শত বছর এগুনো পথ পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টির সমাপ্তির দিকে মোড় নেয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সামগ্রিকভাবে বাতিল করে দেয়া আপিল বিভাগের রায়ে। রায়ে বলা হয়, কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলো সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। এই নির্দেশনার আলোকে সরকারের নির্বাহী বিভাগকে অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। পরে সরকার পরিপত্র জারি করেন।
এখানেই থেমে যাওয়ার কথা আন্দোলন। বিজয় ঘটেছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু বিজয় ঘটেনি তাদের, যারা এই শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে গিয়ে আন্দোলনকে সহিংস রূপ দিয়েছিলো। বলছি সেই, জামায়াত শিবির আর বিএনপির সন্ত্রাসী চক্রর কথা। তারা এখনো মাঠে আছে। আছে লুকিয়ে। কেউ কেউ ধরা পড়ছে। শিবিরের একটি চক্রকে তো র্যাব পুলিশ অনেক আলামতসহ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের ক্ষুদে বার্তা দেখলেই বোঝা যায়, কতটা সংঘবদ্ধ আর পরিকল্পিত ছিল তাদের এই সহিংসতা।
এখনো চলছে কারফিউ। মাঠে আছে সেনা-বিজিবি-র্যাব আর পুলিশ। অনেক এলাকাতেই বন্ধ ইন্টারনেট। বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়নি এখন পর্যন্ত। খুলতে শুরু করেছে কলকারখানা। দ্রব্যমূল্য, বিশেষ করে কাচা মালের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। রাজধানীর অনেক রাজপথ আর অফিস আদালত দেখে মনে হয় যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ। পুরে ছারখার হয়ে আছে অনেক অফিস-আদালত। ঘরে বসে এখন অনেকেই হিসাব কষতে শুরু করেছেন, কি পেলাম আর কি হারালাম। উড়ে যাওয়া শান্তির পায়রা তার নিজ ঘরে কবে ফিরবে জানতে চান সবাই। এটাই সবার এখন দেখার অপেক্ষা।
আমার বার্তা/জেএইচ