৩১ দফা নিয়ে জার্মান স্বেচ্ছাসেবক দল পূর্ব শাখার আলোচনা ও পরিচিতি সভা
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে জার্মান স্বেচ্ছাসেবক দল পূর্ব শাখার উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা শীর্ষক আলোচনা ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৮ জুলাই নগরীর রাইনিকেনডর্ফের একটি মিলনায়তনে এ সভায় জার্মান বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সব নেতাকর্মীসহ সুইজারল্যান্ড থেকে আসা নেতারাও যোগ দেন।
সংগঠনের সদস্য সচিব মো. ইব্রাহীম সরোয়ারের সঞ্চালনায় কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. সুহেব আহমেদ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমদ শাহিন ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. সেলিম হোসেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মান বিএনপির সাবেক সভাপতি আকুল মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার, জার্মান বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অপু চৌধুরী, সাবেক সহ সভাপতি কাজী রেজাউল হক সাঈদ, সাবেক সহ সভাপতি আবু হানিফ, জার্মান বিএনপির সাবেক ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন টিপু, বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুল ইসলাম হেলাল, বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ, বার্লিন বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি জসিম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল বেপারি, বার্লিন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর চৌধুরী জিয়া ও জার্মান স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সাঈদুর রহমান সাঈদ প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাসিরউদ্দিন আহমদ শাহীন বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে জনবান্ধব, ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে গড়ে তুলতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। শুধু দেশে নয়, প্রবাসেও সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে এগিয়ে আসতে হবে। এটি কোনো দলীয় স্বার্থ নয়, বরং জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে গৃহীত একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা।
বক্তব্যে তিনি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠাতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবেন বলে জানান।
সভার প্রধান বক্তা সেলিম হোসেন বলেন, এই ৩১ দফা রূপরেখা শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি একটি সমন্বিত রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা, যা জনগণের মৌলিক অধিকার, প্রশাসনিক জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও মানবিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করবে।
তিনি দফাগুলোর মধ্যে প্রশাসনিক সংস্কার, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী আইন বাতিলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন জার্মান স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সাগর, দলের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকের হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরীফুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন আলিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুক হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাইমিনুল জক মিশু, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইশতিয়াক হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক তানজিদ আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ বিন ইয়ামিন খোকা, যুগ্ম আহ্বায়ক রাফিউর রহমান মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, জার্মান জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতা আনহার মিয়া, আব্দুল হান্নান রুহেল, একরাম হোসেন, আব্দুর শহীদ, সোহেল চৌধুরী, আসিফ আহমেদ, হাসিবুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ, তারেক চৌধুরী, আবু তাহের, তানজিল, মো. জাবেদ আহমেদ, বেলাল খান, শাহীন, শাকিলসহ অনেকে।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের পাশাপাশি জার্মান স্বেচ্ছাসেবক দলের বিদায়ী সভাপতি সাঈদুর রহমান সাঈদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। শেষে জুলাই আন্দোলন হতাহতদের স্মরণে তথ্যচিত্র প্রদর্শন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়।
আমার বার্তা/এমই