বিপদগ্রস্তকে সান্ত্বনা দেওয়ার ফজিলত

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৩১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

বিপদ-আপদ মানুষের সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে থাকে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুবই কম। বিপদ-আপদে ধৈর্যহারা বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বিপদ দিয়েই পরীক্ষা করেন। বিপদের মাধ্যমে মানুষকে পরিণত করেন। বিপদ পড়লেই মানুষের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং রবের ওপর ভরসা বেড়ে যায়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

وَ لَنَبۡلُوَنَّكُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ

আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫)

আল্লাহ তায়ালা মানুষের ঈমান ও ধৈর্য ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে বেশী পরীক্ষা, বিপদাপদ-বালা মুসিবত নবীদেরকে প্রদান করেন। তারপর যারা তাদের পরের লোক, তারপর যারা এর পরের লোক, তারপর যারা এর পরের লোক। (মুসনাদে আহমাদ: ৬/৩৬৯)

তাই বিপদ এলে ধৈর্যধারণ করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা রাখতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

 لَا یُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا ؕ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَ عَلَیۡهَا مَا اكۡتَسَبَتۡ

আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। (সূরা বাকারা, আয়াত : ২৮৬)

এজন্য বিপদ-আপদে মুমিনের একমাত্র ভরসা আল্লাহ তায়ালা এবং ধৈর্যধারণ করা। আমরা নিজে যখন বিপদে আপদের মুখোমুখি হই তখন এটাই আমাদের ভরসা। একইসঙ্গে অন্য কেউ বিপদে পড়লে তাকেও ধৈর্যধারণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং সান্ত্বনা দিতে হবে। কারণ, বিপদের সময় অন্যকে সান্ত্বনা দিলে আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময় দেবেন। এ বিষয়ে এক হাদিসে হজরত আমর ইবনে হাযম রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন—

 যে ব্যক্তি তার মুমিন ভাইকে বিপদে সান্ত্বনা দেবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তাকে সম্মানের পোশাক পরিধান করাবেন। (ইবনে মাজাহ, ১৬০১)

অপর এক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি বিপদগ্রস্তকে শান্তনা দেয়, তার জন্য একই সওয়াব রয়েছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬০২)

 

আমার বার্তা/এমই