আবু দারদা (রা.) যেভাবে মেহমানের আপ্যায়ন করতেন
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

হজরত আবু দারদা (রা.) অত্যন্ত দানশীল ও অতিথিপরায়ণ ছিলেন। অভাব-অনটন সত্ত্বেও মেহমানের আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি করতেন না কখনো। অধিকাংশ সময় তার বাড়িতে মেহমান থাকতো। কোনো মেহমান এলে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, থাকবেন না চলে যাবেন? যদি কেউ চলে যেতে চাইতো তাকে তিনি পাথেয় দিয়ে দিতেন। অনেক মেহমান কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করতেন তার বাড়িতে। তিনি সানন্দে তাদের আপ্যায়ন করতেন। তাদের ভালো-মন্দের খোঁজ-খবর রাখতেন।
রাসূল সা.-এর ইন্তেকালের পর তিনি শামে বসবাস করা শুরু করেন। এ সময় হজরত সালমান ফারসি রা. কোনো প্রয়োজনে দাশেক গেলে তাঁর বাড়িতেই অবস্থান করতেন।
রাসূল (সা.) মদিনায় হিজরত করার পরে হজরত আবু দারদা (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি বেশ চমকপ্রদ—
আবু দারদা রা. একটি মূর্তিটির পূজা করতেন। প্রতিদিনের মতো একদিন সকালে উঠে মূর্তির কাছে গেলেন। তেল, সুগন্ধী মাখিয়ে মূর্তির গায়ে রেশমী কাপড় তুলে দিলেন। বেলা বাড়ার পর দোকানে চলে গেলেন।
তার বন্ধু আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা তখন বদর যুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি যুদ্ধ থেকে ফিরে আবু দারদার বাড়িতে গেলেন তার সঙ্গে দেখা করতে। তার স্ত্রী জানালেন তিনি বাড়িতে নেই। তিনি একটি হাতুড়ি নিয়ে প্রতিমাটি ভেঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন।
আবু দারদা বাড়িতে স্ত্রীর কাছে সব শুনে প্রথমে রেগে গিয়েছিলেন। তারপর গভীরভাবে চিন্তা করে বলে উঠলেন, যদি এই প্রতীমার মধ্যে সত্যি সত্যিই কোনো কল্যাণ থাকতো, তাহলে সে নিজেকে রক্ষা করতো। এমন চিন্তার পর তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রা.-কে সঙ্গে নিয়ে রাসূল সা.-এর কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।
আমার বার্তা/এমই