আইসিসির নিয়মের বাইরে গিয়ে জিম্বাবুয়েকে ‘ট্যুরিং ফি’ দিবে ইংল্যান্ড

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৭:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ

  স্পোর্টস ডেস্ক:

আর্থিক লভ্যাংশ বণ্টন নিয়ে নিয়মিতই সমালোচনার শিকার হতে হয় আইসিসিকে। কারণ, এই বণ্টনে কেবল লাভবান হয়ে থাকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো বড় ক্রিকেট বোর্ডগুলো। অন্যদিকে বিপাকে পড়ে ছোট দলগুলো। যার স্পষ্ট উদাহরণ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ক্রিকেটে এক সময়ের অন্যতম শক্তিধর দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় যার প্রভাব পড়েছে দেশটির মাঠের ক্রিকেটেও। খেলোয়াড়দের বেতন বাড়ানো তো দূরে কথা, নিয়মিত বেতন দিতে হিমশিম খেতে হয় বোর্ডটিকে। এই অবস্থা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও।

দেশটির বোর্ড থেকে যে বেতন পায় তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে ক্রিকেটাররা। অনেক সময় দেখা গিয়েছে উন্নতমানের ক্রীড়া সামগ্রীও কিনতে পারছে না তারা। তবে এবার আইসিসির নীতির বাইরে গিয়ে জিম্বাবুয়ের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।

আসন্ন গ্রীষ্মে জিম্বাবুয়েকে নিজেদের দেশে একটি টেস্টের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, জিম্বাবুয়ের ট্যুর ব্যয় বহন করবে তারা। অর্থাৎ ইংল্যান্ডে আসতে জিম্বাবুয়ের কোনো খরচই হবে না। আর সেটি হলে ২২ বছর পর ইংল্যান্ডে এক ঐতিহাসিক সফর হতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের।

আইসিসির নীতি অনুসারে সফরকারী দলগুলোকে আতিথেয়তা দেওয়ার দায়িত্ব স্বাগতিকদের হলেও যাওয়ার ব্যয় বহন করতে হয় সফরকারী দলকেই।

তবে জিম্বাবুয়েকে ইংল্যান্ডে আসার সব খরচ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টেস্টের আগে এ ঘোষণা দেন তিনি।

রিচার্ড গোল্ড বলেন, ‘আইসিসির রাজস্ব বণ্টন পদ্ধতির কথা বলুন কিংবা দ্বিপক্ষীয় সিরিজের রাজস্ব ভাগাভাগি করা। সত্যি বলতে— এসব যেভাবে হয়ে আসছে, তা পুরোনো হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, আগামী বছর জিম্বাবুয়ে সফরে আসবে আমাদের এখানে।

‘এমনিতে যেটা চলে আসছে, সফরকারী দল কোনো দেশে যাওয়ার পর তাদের আবাসন ও অন্যান্য কিছুর দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের থাকে। কিন্তু সফরে যাওয়ার জন্য কোনো ফি দেওয়া হয় না। আগামী বছর যখন আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলব, সফরে আসার জন্য ওদেরকে ফি দেব।’

জিম্বাবুয়েকে এই সুবিধা দিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কেন দেওয়া হয়নি এই প্রশ্ন করা হয় গোল্ডকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সফরের ৬ থেকে ৯ মাস আগে থেকেই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি আমি, কোন ধরনের সহায়তা আমরা করতে পারি।

ব্যাপারটা অনেকভাবেই করা যায়, শুধু টেস্ট ম্যাচের চক্র দিয়েই নয়। যেমন গত ক্রিসমাসের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে আমরা বাড়তি দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছি (আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচির বাইরে), যাতে তাদের সহায়তা করতে পারি। সবসময় আর্থিক সহায়তাই জরুরি নয়। অন্য অনেক পথও আছে।

 

আমার বার্তা/এমই