সেরা নারী সাঁতারু খুঁজতে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৮:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। সেই দেশে নারী সাঁতারুর সংকট। তাই সাঁতার ফেডারেশন 'সেরা সাঁতারু খোঁজে বাংলাদেশ' কর্মসূচিতে নারী সাঁতারু তুলে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, 'নদীমাতৃক দেশে নারী সাঁতারুর সংকট আসলেই দুঃখজনক। তাই এবার ট্যালেন্ট হান্টে আমরা বিশেষভাবে নারী সাঁতারুদের খুঁজে আনার চেষ্টা করছি। আশা করছি আমরা সেরা সাঁতারু কর্মসূচিতে ভবষ্যিতের জন্য ভালো নারী সাঁতারু তুলে আনব।'
মূলত দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলা থেকে আসা সাঁতারুদের নিয়ে ১৫টি ভেন্যুতে চলবে এই বাছাই কার্যক্রম। ১০ মে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। বাছাই প্রক্রিয়া চলবে তিন ধাপে। যেখানে সারা দেশ থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হবে ৬০০ সাঁতারু।
এরপর ঢাকায় হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের বাছাই। সেখানে ৬০০ থেকে সাঁতারু কমিয়ে আনা হবে ১০০ জনে। সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে চূড়ান্ত বাছাই করা হবে ৫০ জন সাঁতারুকে। চূড়ান্ত পর্যায়ের এই বাছাইকৃত সাঁতারুদের দুই বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বয়সভিত্তিক ‘ক’ গ্রুপে ৯-১১ বছর বয়সী সাঁতারুরা অংশ নেবে। ১২-১৫ বছর বয়সী সাঁতারুরা অংশ নেবে ‘খ’ গ্রুপে। ফ্রি স্টাইল ও নিজের পছন্দের কোনো ইভেন্টে সাঁতারে অংশ নিতে পারবে প্রতিযোগীরা। সাতারে ১৯ টি ইভেন্ট রয়েছে এর মধ্যে শুধু অন্বেষণে ফ্রি স্টাইলই প্রাধান্য ফেডারেশনের। সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা প্রতিভা খুঁজব। এই বয়সে সাঁতারের আগ্রহীরা ব্যাক বা ব্রেস্টস্ট্রোক সম্পর্কে জ্ঞান থাকার কথা নয়। সাধারণ সাঁতার জানলে ও পারলে আমরা বাকিটা তাকে প্রশিক্ষিত করে তুলব'।
২০১৬ সালে সাঁতার ফেডারেশন সেরা সাঁতারুর কর্মসূচি নিয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে বিকেএসপির খেলোয়াড়ও ছিল। বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের খেলোয়াড়দের অনেকে আবার ফেডারেশনের এই কর্মসূচিতে আসায় অন্বেষণের বিস্তৃতি তেমন হয়নি। তাই এবার বিকেএসপি খেলোয়াড়রা অন্বেষণে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন। এসএ গেমসে সোনাজয়ী সাঁতারু শাহজাহান আলী রনি, মাহফুজা খাতুন শিলা, জুয়েল আহমেদসহ ফেডারেশনের কোচেরা এই বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।
‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ কর্মসূচীর জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। এরই মধ্যে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে সাঁতার ফেডারেশনকে। প্রাইম ব্যাংক থেকে আরও সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন সৈয়দ রায়হান তারেক, ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নিবেদিতা দাস ও কোষাধক্ষ্য মেজর মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (অব.)।
আমার বার্তা/এল/এমই