খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা লাল কার্ড প্রর্দশন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুয়েট ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলার পাদদেশে জড়ো হয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ।
কুয়েটে আন্দোলনকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা হচ্ছে আমাদের মূল দাবি। এখন যারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করেছিলেন, তাদের বহিষ্কার করতে হবে। ভিসি স্যারকে পদত্যাগ করতে হবে। উনি আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দালন চালিয়ে যাব। আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখিয়ে বয়কট ও বর্জন করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস ব্রিফিং-এ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময়ে শিক্ষার্থীরা কুয়েটের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাত থেকে ভিসি প্রফেসর ড. মাছুদ মেডিকেল সেন্টারে অবস্থান করছিলেন। অসুস্থ থাকার কারণে তিনি সেখানে অবস্থান করার কথা জানালেও ছাত্ররা সারারাত তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার পর শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে সরে গেলে প্রায় ২৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত হন কুয়েট ভিসি।
আমার বার্তা/এমই