রোববার (১ ডিসেম্বর) ছিলো বিশ্ব এইডস দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সিলেটে সরকারি-বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে জনসাধাণের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাউন্সিলিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হয়।
সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় জেলায় এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে এতে মৃত্যুর সংখ্যা। তাই উদ্বেগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তবে উদ্বীগ্ন না হয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত দৈনিক আমার বার্তা-কে জানান- গত বছর জেলায় ৫ হাজার ৭৮৯ জন এইচআইভি (এইডসের ভাইরাস) টেস্ট করিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৪৮ জনের শরীরে এইডস শনাক্ত হয়। আর চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত ২ হাজার ১০৫ জন এইচআইভি টেস্ট করান। তাদের মধ্যে ২৭ জনের শরীরে রোগটি শনাক্ত হয়েছে।
তিনি জানান- গত বছরের আক্রান্তদের মাঝে ১ জন মারা গিয়েছিলেন। আর এ বছর আক্রান্তদের মাঝে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ জন।
সিভিল সার্জান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২৪-এর অক্টোবর পর্যন্ত সিলেট জেলায় ১ হাজার ১৪২ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৯৫ জন।
সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে এইডসে আক্রান্ত রয়েছেন মৌলভীবাজার জেলায়- এমন তথ্য দিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
ডা. জন্মেজয় দত্ত সিলেটভিউ-কে বলেন- ‘মানুষের মাঝে এইডস নিয়ে আগের চাইতে অনেক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। যেসব কাজ করলে এইডস সংক্রমণ হয় সেগুলো পরিহার করছেন মানুষ এবং অনেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে টেস্টও করাচ্ছে। ফলে সিলেটে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। তবে এ বছর মৃত্যুর হার বেশি সিলেটে।’
তিনি আরও বলেন- ‘এইডস রোগে আক্রান্তদের মাঝে প্রথমে বেশ কয়েক বছর উপসর্গ দেখা দেয় না। ফলে আরেকটি পরীক্ষা (ভাইরাল লোড টেস্ট) আছে, সেটি করলে সংক্রমণের মাত্রা চিহ্নিত করা যায়। সেটি সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হয়। মরণঘাতি এ রোগ থেকে বাঁচতে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।