কক্সবাজার সীমান্তে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পরিদর্শনের মধ্যেই টেকনাফের পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করা ১৪ রোহিঙ্গাসহ ১৭ শ্রমিক অপহরণের শিকার হয়েছেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁরা অপহরণের শিকার হন।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে যাওয়া ১৪ রোহিঙ্গা শ্রমিকসহ ১৭ জন ধরে নিয়ে গেছে অস্ত্রধারী অপহরণকারীরা। তাঁদের উদ্ধারের আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে দুপুরে সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের নাফ নদীর দমদমিয়া এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ.পরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, সীমান্তে মাদক, অপহরণ ও চোরাচালান রোধে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। বিশেষ পাহাড়ি অস্ত্রধারীদের ধরতে আমাদের অভিযান চলবে।
এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি সীমান্তের সাধারন মানুষের নিরাপত্তায় নাফনদী-সীমান্তে বিজিবি-কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে। তবে সেখানকার সরকার যেহেতু এখনো জান্তা, তাই নিজেরদের স্বার্থে দু'পক্ষের সাথেই যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।"
টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতিদিনের মত বাগানে কাজ করতে গেলে ১৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এপিবিএন পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।"
অপহৃতরা হলেন- বন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (২২), সৈয়দ (৫০), মো. রফিক, শ্রমিক আইয়ুব খান (১৮), আইয়ুব আলী (৫০), আনসার উল্ল্যাহ (১৮), আয়াত উল্ল্যাহ (২২), সামছু (৪৫), ইসলাম (২১), সামছু (৪০), ইসমাইল (৩৫), মোহাম্মদ হাসিম (৪০), নূর মোহাম্মদ (২১), সৈয়দ আমিন (৩০), সফি উল্ল্যাহ (৩০), আইয়ুব (৫০), মাহাতা আমিনসহ (১৮) ১৭ জন। এদের মধ্যে ১৪ জন উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।