লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে গত ১১ দিন থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। পাথর রপ্তানি মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে আমদানি সচল করতে ভারত, ভুটানের ব্যবসায়ীদেরকে কয়েকদফা চিঠি দিয়ে চেষ্টা করে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু এতে কোনো কর্ণপাত করছেনা ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
বেশকিছুদিন হলেও ওই দুই দেশের রপ্তানিকারকরা কোনো প্রকার সাড়া দেয়নি। পাথরের দাম পুননির্ধারণ করা না হলে ১ ফেব্রæয়ারি থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার চিঠি দেয় এ বন্দরের ব্যবসায়ীরা। চিঠি অনুযায়ী গত ১১ দিন থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত ও ভুটানের তোর্শা ও স্টোন বোল্ডার পাথর পাথর ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দাবি, দাম পুননির্ধারণ ও ব্যবসায়ী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে ভারত, ভুটানের ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোকে কয়েকদফা চিঠি দিয়ে আলোচনা করতে আহবান করা হয়। কিন্তু ওই দেশের ব্যবসায়ীরা বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠনকে কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না। বরং উল্টো ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সরকার ও সে দেশের কয়েকজন ব্যবসায়ী বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ ব্যবসায়ী পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছেন। এ বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠনদের দেওয়া চিঠির ভুল ব্যাখ্যা করে দোষারোপ করছেন। এতে দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উভয় দেশ।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু রাইয়ান আশয়ারী রছি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ভারত, ভুটানের ব্যবসায়ীদেরকে কয়েকবার চিঠি দিয়ে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করি। উনারা তা শুনছেন না। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম নিয়াজ নাহিদ বলেন, ‘পাথরের দাম কমানোর দাবি যৌক্তিক ও কমানো উচিত। না কমালে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন।