কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য ও দৈনিক বাংলাদেশ সময় পত্রিকার বাজিতপুর প্রতিনিধি ইফরানুল হক সেতুর উপর প্রতিবেশি মাদকাসক্ত যুবকের হামলার ঘটনা ঘটেছে, হামলাকারী যুবক বাজিতপুর পৌর এলাকার রাবারকান্দি গ্রামের পিন্টু মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া (২৫)।
কিন্তু সাংবাদিক সেতু জীবন রক্ষার্থে বামহাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে চাইলে তার বামহাতের কব্জির উপরের অংশ কেঁটে রক্তাক্ত জখম হয়। সেতু চিৎকার শুরু করলে পরে রাকিব মিয়া পুনরায় ছুরি দিয়ে তার পিঠে আঘাত করে। দ্বিতীয় দফা ছুরিআঘাতে তার পরিহিত গেঞ্জি ছিঁড়ে যায় এবং শরীরের কয়েক জায়গা কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তার চিৎকারে আশেপাশে লোকজন জড়ো হলে, তাদের উপস্থিতিতেই রাকিব মিয়া সাংবাদিক সেতুকে ভবিষ্যতে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সাংবাদিক সেতু বাজিতপুর সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সেতু বলেন, রাকিব মিয়া খুব খারাপ লোক, তার কার্যকলাপে ও হুমকিতে বুঝা যাচ্ছে, সে ভবিষ্যতে যেকোনো সময় আমাকে অথবা আমার পরিবারের অন্য কাউকে আক্রমণ করতে পারে। আমার উপর ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক ইফরানুল হক সেতু নিজে বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন,থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে সাংবাদিক সেতু পূর্বের দেনা-পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কথা বলতে এবং তার দেওয়া চেকের পাতা ফেরত চাইতে প্রতিবেশি রাকিবদের বাড়িতে যান। এক পর্যায়ে রাকিবের পিতা-মাতার সাথে সেতুর তর্ক বিতর্ক হয়। এরই জের হিসেবে রাকিব মিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে সাংবাদিক সেতুর পেটে আঘাত করে।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুরাদ হোসেন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে সাংবাদিক সেতুর উপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাজিতপুর উপজেলার রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল সদস্য এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ। হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আমার বার্তা/জাহাঙ্গীর আলম/এল/এমই