চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকদের সচেতন করতে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের মাধ্যমে সমাজ গড়া সম্ভব। এ কাজে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’
রোববার (১ জুন) চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নগরের বিভিন্ন এলাকার ১ হাজার ৩৩৮ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতের মধ্যে সড়কবাতি চালু ও বন্ধের দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানিভাতা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী শাফকাত বিন আমিনসহ বিদ্যুৎ উপবিভাগের কর্মকর্তারা।
মেয়র বলেন, রাস্তার বাতি অন ও অফ করার কাজটি খুব সাধারণ মনে হলেও এর প্রভাব অনেক বড়। একটি বাতি অপ্রয়োজনে জ্বলে থাকলে বিদ্যুৎ অপচয় হয়, বিল বাড়ে, পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। তাই দায়িত্ব পালনে যত্নবান হতে হবে।
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, শুধু খাল না থাকাই নয়, খাল ও নালা অপরিষ্কার থাকাও জলাবদ্ধতার বড় কারণ। মানুষ যখন পলিথিন, বোতল, ককশিট, খাবারের প্যাকেট যত্রতত্র ফেলে, তখন তা গিয়ে জমে ড্রেনে। এরপর একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়।
তিনি ইমাম ও ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা যদি খুতবার সময় বলেন—ময়লা যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলুন, তাহলে মানুষ তা গুরুত্ব দিয়ে নেবে। আপনাদের কথা মানুষ শোনে এবং মানে।’
মেয়র আরো বলেন, ‘আমরা চাই চট্টগ্রামকে একটি পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও স্বাস্থ্যকর নগর হিসেবে গড়ে তুলতে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে মানুষের আচরণে পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে মেয়র উপস্থিত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের উদ্দেশে বলেন, আমি দোয়া চাই—এই ৭০ লাখ মানুষের শহর যেন জলাবদ্ধতা ও দুর্ঘটনার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়। আমাদের সবাইকে এই শহরটিকে নিরাপদ রাখতে একযোগে কাজ করতে হবে।
আমার বার্তা/এমই