ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বনশ্রী পরিবহণের শ্রমিকরা। চাঁদা দাবি, পরিবহণে ভাঙচুর, রাতের আঁধারে বাস পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ও হেলপারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে তারা এ অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার জৈনা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অর্ধশতাধিক বনশ্রী পরিবহণের বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর আড়াআড়ি করে দাঁড় করিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের প্রায় দুই ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় মাওনা হাইওয়ে ও শ্রীপুর থানা পুলিশ। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বনশ্রী পরিবহণের চালক শফিকুল বলেন, ‘রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্থানীয় মেম্বারের ছেলে ফাহিমের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে করে একদল লোক এসে আমাদের ওপর হঠাৎ হামলা চালায়। তারা বাস ভাঙচুর ও মারধর করে। তখন আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুমের মধ্যেই তারা আমাদের পিটিয়ে আহত করে। প্রতিটি গাড়ি থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার সহকারী আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়।’
বাস চালক মফিজুল বলেন, ‘ওরা নিয়মিত চাঁদা তোলে। এবার হঠাৎ চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। রাতে এসে হামলা চালিয়ে মারধর করে। তারা মাদক সেবন করে হামলা চালিয়েছে। আমরা গরিব মানুষ, পেটের দায়ে গাড়ি চালাই। হঠাৎ এসে আমাদের মারধর করে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ফাহিমের বড় ভাই শেখ ফরিদ জানান, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই বাসটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ায় তারা শুধু এর প্রতিবাদ করেন।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
আমার বার্তা/এল/এমই