বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দামের কারসাজির মুখে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে শত শত কোরবানির পশুর চামড়া। আড়তদাররা এক পিস চামড়া একশ টাকায়ও কিনছেন না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
রাস্তার ওপর শত শত পিস চামড়া পড়ে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর-আতুরার ডিপো এলাকার। মূলত আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে না পেরে ফেলা রাখা হয়েছে এসব চামড়া। সময়মতো লবণ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না হওয়ায় চামড়াগুলো এখন নষ্ট হওয়ার পথে।
গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে সংগৃহীত চামড়ার দাম হাঁকা হচ্ছে ১শ' টাকারও কম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আড়তদাররা চামড়া না নিয়ে ফিরে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ন্যায্য দাম দূরে থাক, উল্টো চামড়া নিয়ে আসা গাড়ির ভাড়াই মিলছে না। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তদাররা চামড়া না কেনায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চামড়া। এছাড়া তারা যে দাম বলছেন, সেই দামে গাড়ির ভাড়াই উঠবে না।
তবে এসব অভিযোগ মানছেন না আড়তদাররা। সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন বলে দাবি তাদের। এবার চট্টগ্রামে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, রেকর্ড চামড়া সংগ্রহ হয়েছে বলে জানান তারা। চট্টগ্রাম চামড়া আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুসলিম বলেন, সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কেনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম চামড়া আড়তদার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, চামড়ার আকারের ওপর দাম। গ্রামাঞ্চল থেকে যে চামড়াগুলো আড়তে আসছে, সেগুলোর আকার ছোট হওয়ায় দাম সেভাবেই মিলছে।
এদিকে ভোক্তা অধিকার বলছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোয় চামড়া নষ্ট হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, চামড়ায় লবণ না দিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে এনেছেন। অধিক লাভের আশায় প্রথমে তারা চামড়া বিক্রি করতে রাজি হয় নি। এতে নষ্ট হচ্ছে চামড়া।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের আড়াইশোর বেশি আড়ত এবং গুদামে আগামী ১৫ দিন কেনা চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। এরপর পাঠানো হবে রাজধানী ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে।
আমার বার্তা/এল/এমই