মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও নিরাপত্তা প্রহরীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। রোগীরা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছেন, তেমনি আতঙ্কে রয়েছেন নার্স ও কর্মরত অন্যান্য স্টাফরাও।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “আমাদের এখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নেই। অল্প কয়েকজন অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে, যা মোটেই যথেষ্ট নয়। দীর্ঘদিন ধরে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী নেই। ফলে চুরি ও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে, এমনকি কিছু জায়গা মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে।”
হাসপাতালের এক নার্স জানান, “রাতের বেলায় কোনো প্রহরী না থাকায় আতঙ্কে থাকতে হয়। বাইরের লোকজন ঢুকে পড়ে, কেউ বাধা দেয় না।”
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, করিডোর, ওয়ার্ড ও টয়লেট এলাকাগুলোতে জমে আছে ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধে অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন। টয়লেটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের বাইরে ও আশপাশে যেখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে ময়লা।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য শুধু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই নয়, রোগীর স্বজনদেরও সচেতন হওয়া দরকার। স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, “পরিচ্ছন্নতা শুধু কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নয়, আমাদের সবার দায়িত্ব। সচেতন না হলে যত জনবলই দিন, তাতে কাজ হবে না।”
স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে হাসপাতালের জনবল সংকট দূর করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত প্রহরী নিয়োগ দিতে হবে।রোগীর স্বজনদের সচেতন করতে নিয়মিত প্রচার ও সতর্কতামূলক নোটিশ দেওয়া জরুরি।
শিবচরের জনগণের প্রত্যাশা, স্বাস্থ্যখাতে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে, যাতে শিবচরবাসী স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে দুর্ভোগে না পড়েন।