দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অন্তত ১ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ বেশি উৎপাদন হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৪৭ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে মোট মৎস্য উৎপাদিত হয়েছে ৪৯ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় এক লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন বেশি মাছ উৎপাদন হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও গতিশীল নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
এছাড়া, বিবিএসের তথ্য দিয়ে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের মানুষ দৈনিক গড়ে জনপ্রতি ৬৭.৮০ গ্রাম (জনপ্রতি বাৎসরিক ২৩.৭২ কেজি চাহিদার বিপরীতে ২৫.০০ কেজি) মাছ গ্রহণ করছে।
উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোনা অবমুক্তির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় ২১৫.৪৩ মেট্রিক টন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০০.২৫ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় বিল নার্সারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সারাদেশে ৯১৭টি এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৭৪টি বিল নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি রোধ ও প্রাচুর্য রক্ষার্থে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৫০০টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে সালে রাজস্ব খাতের আওতায় ৩৮৯টি মৎস্য অভয়াশ্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭২টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে মৎস্য অধিদফতরের আওতাধীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ হাজার ৭ শত ৫৮ হেক্টর অবক্ষয়িত জলাশয় পুনঃখনন করে সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। খননকৃত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আমার বার্তা/এমই