ধারাবাহিকভাবে টাকা ছাপাতে থাকলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আবার এই মুহূর্তে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা না করলে তৈরি হবে গ্রাহকের আস্থার সংকট। যার ফলে আরও সংকটে পড়বে দেশের অর্থনীতি। তবে নতুন করে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর প্রভাব এখনই সরাসরি বাজারে পড়বে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত দেড় দশকে অর্থ লুটপাট আর পাচারের চরম পর্যায়ে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ভুয়া কোম্পানির ঋণের নামে ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। এমন অস্বাভাবিক লুটপাটে দেউলিয়ার মুখে এখন বেশ কিছু ব্যাংক।
গত ১৬ বছরে মেগাপ্রকল্পের খরচ মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নেয় আওয়ামী সরকার। পদত্যাগের সময় শেখ হাসিনার সরকার ঋণ রেখে গেছে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। রিজার্ভের বিপরিতে বেশি টাকা ছড়িয়ে পড়ার নেতিবাচক প্রভার পড়ে নিত্যপণ্যের বাজারে। ধীরে ধীরে কমতে থাকে টাকার মান। পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে ঠেকেছে পকেট ভরে টাকা নিয়ে বাজারে গেলেও ব্যাগ ভরছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ছয়টি দুর্বল ব্যাংকের তারল্য সংকট দূর করতে দেওয়া হয় এই টাকা।
অর্থনীতিবিদ ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, ১২ থেকে ১৫টি ব্যাংক দেউলিয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। গ্রাহককে টাকা তোলার সুযোগ না দিলে তারা যদি রাস্তায় নেমে যায় তাহলে ভয়াবহ একটি ক্রাইসিসের সম্ভাবনা থাকে।
তিনি বলেন, কঠোর সংকোচন নীতি প্রয়োগ করার ফলে নতুন করে ছাপানো টাকা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। এই টাকা ছড়িয়ে পড়ার এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাজারে সরাসরি প্রভাব পড়বে না।
সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ব কমিয়ে সরাসরি কৃষকের হাত থেকে পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে পারলে নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল হবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আমার বার্তা/জেএইচ