বাজেটের জটিল হিসাবনিকাশের বাইরে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয় কমার আশা সাধারণ মানুষের । তাদের প্রত্যাশা যাপিত জীবনের ব্যয় যেন কমে আসে। এ লক্ষ্যেই সরকারকে বাজেট সাজানোর পরামর্শ। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের মান বাড়াতে সরকারি খরচ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাজেটে দৈনন্দিন ব্যয় কমার আশা সাধারণ মানুষের
নরসিংদী থেকে রাজধানীতে প্রতিদিন সকালে রিকশা চালাতে আসেন খলিল মিয়া। দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় শেষে রেল যোগে ফিরে যান পরিবারের কাছে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, বাজেট, জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিংবা মূল্যস্ফীতি বুঝি না। দিন এনে দিন খাই। বাজারে গিয়ে পকেটে হাত দিলে মিলে না চাহিদামতো পণ্য কেনার খরচ।
চাকরিজীবীরাও আয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সামাল দিতে পারছে না পরিবারের খরচ। তাদের আছে আবার ব্যক্তি আয়করের মতো প্রত্যক্ষ করের চাপও। অথচ নতুন বাজেটে বাড়ছে না করমুক্ত আয় সীমা। চাকরিজীবীরা বলেন, করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো উচিত। এতে মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে বাজারে গিয়ে চাপে পড়ছেন নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ। ৯ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি তথা পণ্যের দাম কমিয়ে আনাই, বাজেটকে সামনে রেখে তাদের প্রধান দাবি। ভোক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে। এটি আরও কমে আসলে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে চলতে পারবে।
এর বাইরে সন্তানেরা চাইছে পরিবারের খরচের বোঝা কমাতে যেন বাজেটে সরকার শিক্ষাখাতে খরচ কমায়। শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারকে শিক্ষাখাতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। এতে চাপ কমবে পরিবারের ওপর।
জনগণকে যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা উন্নত দাবি অনেকের। এছাড়া যাপিত জীবনে দিন শেষে স্বস্তিতে ঘরে ফেরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজেটে যথাযথ প্রতিফলনও চান সাধারণ মানুষ।
রিকশাচালক থেকে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা- সবারই চাওয়া আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হবে বাস্তবমুখী। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি থাকবে সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নের রোডম্যাপ। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটে বৈষম্য বিলোপ হবে বলেও প্রত্যাশা সকলের।
আমার বার্তা/এল/এমই