অভিনেতা ও নির্দেশক আবুল হায়াত এর ৮০ তম জন্মদিন পালন করেন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ’। শিল্পী সংঘের নিকেতনস্থ কার্যালয়ের হলরুমে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় আলোচনা ও কেককেটে জন্মদিন পালন করা হয়।
জন্মদিনে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন সিনিয়র অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, অভিনেতা তারিক আনাম খান, অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন, অভিনেতা ও নির্দেশক তৌকির হোসেন, ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি ও অভিনেতা অনন্ত হীরা, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি ও অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম, শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদ অভিনেতা রওনক হাসান ও শিল্পী সংঘের সদস্যরা উপস্থিত থেকে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আবুল হায়াতের জামাতা তৌকির বলেন-বাবাকে সব সময় ছিমছাম চলতে দেখি। বন্ধুর মতই দেখেছি, সব সময় লিখলে ভালো লেখক হতেন। তিনি তার আত্মজীবনী লিখেছেন ৮০ তে আসলাম।
জয়যাত্রা ছবিতে আমি বাবাকে ডিরেক্ট করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। সর্বশেষে হায়াত ভাই বলেন ৫-৬ বছর বয়সে মঞ্চে অভিনয় করি, ১০ বছর বয়সে মঞ্চ বানিয়ে অভিনেতা করেছি। অমলেন্দু বিশ্বাসকে দেখে আমি অভিনেতা হতে চেয়েছি। ৬৮ সালে থিয়েটারে ঢুকলাম, সারা জীবন অভিনয়ই করেছি। টিভিতে ১ম অডিশন দিলাম। চিঠি আসলো, আমাকে ডেকেছে আবার বাদও দিয়েছে, বউ বলতো আবার চেষ্টা করেন। এ গুলি তো ফেইস করেছি। ওয়াসার ইঞ্জিনিয়ার চাকুরীটা করলাম। ৬৬৫/- টাকা বেতন পেতাম, ১৬৫ টাকা বাড়ী ভাড়া দিতাম। পরে লিবিয়ায় চাকুরী করে ৩ বছরে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দেশে আসলাম। প্যাকেজ নাটক শুরু হলে আবার অভিনয় করা শুরু করলাম। তার মা তার নাম রেখেছেন রবি, পুরোনাম খন্দকর মো. শামছুল আরেফিন আবুল হায়াত গোলাম মাহবুব।
তার আত্মজীবনী লেখা শেষ, প্রকাশনা হবে, পাশাপাশি ১টা মঞ্চ নাটক লিখছেন। অভিনেতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি অনন্ত হীরা।
আমার বার্তা/এমই